ই-পেপার মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪

সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বছর
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:৪৯ পিএম আপডেট: ২৭.১২.২০২২ ৫:৫৯ পিএম  (ভিজিট : ২১১)
বিদায়ী ২০২২ সালে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে সাধারণের দৃষ্টিতে গুরুত্বের শীর্ষে চলে আসে। এরমধ্যে যেমন রয়েছে বিভিন্ন মামলা, আবার রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক নানা কার্যক্রম, রয়েছে অধস্তন আদালতের কার্যক্রম এবং দেশের রাজনৈতিক বিষয়ও।

বছরব্যাপী যেসব মামলার কারণে সুপ্রিম কোর্টের প্রতি সাধারণের দৃষ্টি ছিল এরমধ্যে রয়েছে- সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়িসংক্রান্ত মামলা, আরেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের জামিনসংক্রান্ত মামলা, বিএনপির নেতাকর্মীদের আগাম জামিন, সুপ্রিম কোর্টে তথ্যকেন্দ্র খুলতে উচ্চ আদালতের আদেশ, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে সাংবাদিকদের আয়কর দেওয়ার নির্দেশ, সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্বানুমতির বিধান বাতিল, বছরজুড়ে নিপুণ-জায়েদ খানের আইনি লড়াই, জাপানি মায়ের দুই সন্তানের হেফাজত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দম্পতির মামলা, কাবিননামায় ‘কুমারী’ শব্দ বাতিল ও সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলার রিভিউ প্রসঙ্গ।

এ ছাড়া প্রথমবারের মতো ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ দেওয়া, সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী পালন, ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির হারে অগ্রগতি, সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে বঙ্গবন্ধুর স্মারক স্তম্ভ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় (আপিল ও হাইকোর্ট) বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ, বিচারকাজে ব্যবহৃত জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের প্রায় পুরোটাই জাল- ইত্যাদি বিষয়ও বছরজুড়ে ছিল আলোচনায়।
অন্যদিকে বছরের প্রথমার্ধে সুপ্রিম কোর্ট বারও ছিল বিভিন্ন কারণে আলোচনায়। বিশেষ করে বার নির্বাচনে সম্পাদক পদের ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সরকারপন্থি ও সরকারবিরোধী আইনজীবীদের ধাক্কাধাক্কির সময় রক্তে ভেজে আইজীবীর সাদা শার্ট। এর আগে বার নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের চার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বারের প্রেসিডেন্ট কে বলে লিখিত প্রশ্ন তুলেছিলেন।

তা ছাড়া নিম্ন আদালতের কিছু বিষয় নিয়েও আলোচনা চলছিল দেশের অধস্তন আদালতের অভিভাবক সুপ্রিম কোর্টে। এরমধ্যে রয়েছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামিকে ঢাকা জজকোর্টে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া এবং সারা দেশে অধস্তন আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়া।

সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ও বার ছাড়াও সময়ে সময়ে দেশের রাজনৈতিক বিষয়ও সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে আলোচনায় প্রাধান্য পায়। এরমধ্যে রয়েছে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ, দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে আইনজীবীদের দায়িত্ব পাওয়া।

মূলত ২০২২ সালের প্রথম কার্যদিবস থেকেই সাধারণের দৃষ্টিতে ছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ২ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এজলাসে বসেন। তবে এ সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হয় ২০২২ সাল শুরুরও দুই দিন আগে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর। সেদিন দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে। এর পরদিন ৩১ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির শপথ নেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আর ওই দিন থেকেই দীর্ঘ ছুটিতে চলে যান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। 

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন-জ্যেষ্ঠতায় এগিয়ে থাকলেও প্রধান বিচারপতি না করার অভিমান থেকে ছুটিতে চলে যান তিনি। পরে একাধিকবার ছুটি বাড়িয়ে তিনি আর এজলাসে বসেননি। চলতি বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর তার কর্মজীবনেরও শেষ দিন। সুপ্রিম কোর্টের চলমান অবকাশের মধ্যে তার কর্মজীবনের শেষ দিন হওয়ায় এটি নিশ্চিত যে তিনি আর এজলাসে বসছেন না।

চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতিসহ মাত্র চারজন বিচারক ছিলেন। তাই বছরের শুরুতে আপিল বিভাগে মাত্র একটি বেঞ্চে বিচারকাজ চলে। সুপ্রিম কোর্টে ২০০৯ সালে ৯ জন বিচারক ছিলেন, যেখানে তিন বেঞ্চে বিচারকাজ পরিচালনা হতো। পরে আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হলে বর্তমানে এখানে ৯ জন বিচারক আছেন। এর ফলে এখন আপিল বিভাগে তিনটি বেঞ্চেই বিচারকাজ চলে। তা ছাড়া বছরের মাঝামাঝিতে গত ৩১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে ১১ জন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়। যার ফলে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে বিচার নিষ্পত্তিতে গতি ফেরে।
অন্যদিকে বছরের মাঝামাঝি সময়ের আরেকটি ঘটনা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তা হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের ২১টি মামলার নথির জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প (যা ‘কোর্ট ফি’ নামে পরিচিত) পরীক্ষা করা হয়েছিল গত ১৯ মে। এরমধ্যে ২০টিতেই জাল স্ট্যাম্প ধরা পড়ে। অর্থাৎ শতকরা হিসাবে ৯৫ ভাগ জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পই জাল। এর আগে গত এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচটি মামলায় ব্যবহৃত জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প বা কোর্ট ফি পরীক্ষা করে সব কটিই জাল প্রমাণিত হয় বলে জানা গেছে। এ হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত পর্যন্ত বিচারিক সব পর্যায়ের জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প হিসাবে আনলে সরকার প্রতি বছর প্রায় ৩০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পরে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালতে জাল স্ট্যাম্প ঠেকাতে মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত হয়।

সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে গত ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু স্মারক স্তম্ভ স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে গত ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ প্রদান করা হয়। এর আগের দিন একই স্থানে সংবিধানের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

অন্যদিকে বছরের মাঝামাঝিতে গত মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের দলাদলির চূড়ান্ত রূপ হয়ে সামনে আসে এক ঘটনা। এতে সরকারপন্থি ও সরকারবিরোধী দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় অন্তত একজন আইনজীবী আহত হন-রক্তে ভিজে যায় আইনজীবীর সাদা শার্ট। পেশাজীবী সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে সম্পাদক পদের ভোট পুনর্গণনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা দল ও বিএনপি সমর্থিত নীল দলের আইজীবীদের বিরোধে আইনজীবীর সাদা জামায় লাল রক্ত লাগার মধ্য দিয়ে মূলত রাজনৈতিক ফাটল আরও প্রকট হয়ে ওঠে।

অন্যদিকে ওই নির্বাচনের আগে গত মার্চ মাসে চারজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি কে বলে প্রশ্ন তোলেন। সমিতির এই সাবেক সভাপতিরা হলেন ড. কামাল হোসেন, এম আমীর-উল ইসলাম, রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও মইনুল হোসেন। নির্বাচনের আগে তিনটি প্রশ্নের জবাব চেয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি বরাবর চিঠি পাঠান তারা। এতে বলা হয়, সমিতির সভাপতি (২০২১-২২ মেয়াদে নির্বাচিত) জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু গত বছরের ১৪ এপ্রিল মারা যান। সভাপতি হিসেবে তার মেয়াদ ছিল গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের (২০২২ সালের) ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এ অবস্থায় সমিতির সভাপতি কে?

প্রসঙ্গত আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির পদ শূন্য হলে সমিতির এক সভায় অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিনকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল থেকে নির্বাচিত সহ-সভাপতি এই ঘোষণা দিলেও বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে নির্বাচিতরা এই ঘোষণা মেনে নেননি। যার পরিপ্রেক্ষিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি কে?

বছরের শেষ দিকে গত ১৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক উদ্ভাবিত ছয়টি প্রযুক্তির উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি তার দায়িত্ব গ্রহণের পর অধস্তন আদালত মনিটরিংয়ের জন্য কমিটি গঠন, কমিটির কার্যক্রম, বিভাগভিত্তিক অধস্তন আদালতে মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তি, অবকাশকালে হাইকোর্ট বিভাগে ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির পরিসংখ্যান, অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রশিক্ষণ ও ল্যাপটপ বিতরণ, বিচারপ্রার্থীদের বসার জন্য ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণ, নকল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি শনাক্তে ডিভাইস সরবরাহ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শিশুসন্তানদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রম তুলে ধরেন।

এরপর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে পাঠানো এক বার্তায় বছরের মাঝামাঝিতে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। যাতে দেখা যায় অধস্তন আদালতে মামলা দায়েরের তুলনায় নিষ্পত্তির হার ৯০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যা আগের বছর ছিল ৬০ শতাংশের মতো। একইভাবে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির হারও অনেক বেড়েছে বলে পরিসংখ্যানে তুলে ধরা হয়। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন বিদায়ি বছরে সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন অর্জনের চিত্র তুলে ধরে সময়ের আলোকে বলেন, বিশেষ করে মনিটরিং সেলের তৎপরতার কারণে অধস্তন আদালতের মামলা নিষ্পত্তির হার অনেক বেড়েছে। আশা করা যাচ্ছে এটি আরও বাড়বে।

নিম্ন আদালতের মামলা নিষ্পত্তির এই চিত্র তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল সময়ের আলোকে বলেন, মনিটরিং সেল যেভাবে কাজ করছে, আশা করি অল্প সময়ের মধ্যেই মামলা দায়েরের তুলনায় নিষ্পত্তির হার বেশি হবে। যা আমাদের মামলাজট নিরসনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তা ছাড়া আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আরও অনেক বাড়ানো দরকার।

অন্যদিকে বছরের মাঝামাঝি সময়ে সুপ্রিম কোর্টের আরেকটি আদেশ বেশ আলোচনায় আসে। জুন মাসে দেওয়া ওই আদেশে তথ্য অধিকার আইন অনুসারে সুপ্রিম কোর্টে ৬০ দিনের মধ্যে তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করে বলে সময়ের আলোকে জানান সংশ্লিষ্ট রিটকারী আইনজীবী শিশির মনির।

বছরের শেষ দিকে করোনার সংক্রমণ কমে এলে গত অক্টোবরে ফুলকোর্ট রেফারেন্স সভা হয় প্রধান বিচারপতির এজলাসে। মহামারি করোনাকালে সাবেক প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদসহ বিচারপতি ও আইনজীবী মিলে ২৬৩ জনের মৃত্যুতে এই ফুলকোর্ট রেফারেন্স সভা অনুষ্ঠিত হয়।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close