প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:৩৩ পিএম (ভিজিট : ২৬৬)
কোটা প্রথা কেন বাতিল করা হবে না এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কোটার ভিত্তিতে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) এ রুল জারি করে।
রুলে রিটকারীদের মেধার ভিত্তিতে কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছে আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামীম সরদার। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
স্বরাষ্ট্রসচিব, জনপ্রশাসনসচিব, শিক্ষাসচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছে আদালত।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ১৫২ জন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন। রিটে প্রাথমিক শিক্ষক বিধিমালায় কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ না দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
প্রসঙ্গত গত ১৪ ডিসেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন।
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদ অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও এটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল, ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেওয়া হবে। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আগে পদ সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। পদ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেন চাকরিপ্রার্থীরা। চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক শূন্য পদে নিয়োগ এবং পদ সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে ৬১ জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে স্মারকলিপিও দেন চাকরিপ্রার্থীরা। গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল, প্রকৃত শূন্য পদ যাচাই-বাছাই শেষে ১৪ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। পরে বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদের সঙ্গে পাঁচ হাজার পদ বাড়ানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফলাফল একবারেই প্রকাশ করা হয়েছে।
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
প্রবীণ আইনজীবী ও বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই
হ্যাটট্রিক জয়ে শীর্ষে কিংস 
এনডিটিভির পরিচালনা পরিষদ থেকে পদত্যাগ ২ প্রতিষ্ঠাতার
নতুন বছরে জঙ্গি মোকাবেলায় প্রস্তুত র্যাব
শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণ সেনাবাহিনী প্রধানের 
পুলিশের ওপর হামলাকারীদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না: ডিএমপি 
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিল বাংলাদেশ
শয়তানের প্রভাবমুক্ত থাকার উপায়
নতুন বছরে যে দোয়া পড়বেন 
বান্দার প্রার্থনায় আল্লাহর সন্তুষ্টি
বিএনপি-জামায়াত জানমালের ক্ষতি করলে কঠোর হস্তে দমন: নানক
বিদায় ২০২২ : তবু অনন্ত জাগে