ই-পেপার রোববার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রোববার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অর্থনীতিতে সংকট আরও বাড়ল
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪, ৭:১৮ এএম আপডেট: ২৬.০৭.২০২৪ ৮:০৬ এএম  (ভিজিট : ৩৬৩)
দেশের অর্থনীতি আগে থেকেই ছিল টালমাটাল অবস্থায়। আশঙ্কাজনকহারে রিজার্ভ কমে যাওয়া, ডলারের দরে লাগামছাড়া উল্লম্ফন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রফতানি আয় কমে যাওয়া, বিনিয়োগে স্থবিরতা, ব্যাংকিং খাতের ভঙ্গুর দশা-এ রকম অনেকগুলো সংকট নিয়েই টেনেটুনে চলছিল অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য। এসব সংকটের কারণে অর্থনীতিতে আগে থকেই ক্ষত তৈরি হয়েছিল। কোটা সংস্কারের দাবিতে গত এক সপ্তাহের আন্দোলন ও স্থবিরতার কারণে সবকিছু একেবারে থমকে গিয়েছিল। এই এক সপ্তাহে অর্থনৈতিক কার্যক্রম, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। আর এই এক সপ্তাহের অচলাবস্থার কারণে অর্থনীতির ক্ষতটা আরও বেড়ে গেল বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

অন্যদিকে গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) পর্যালোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত এক সপ্তাহের সহিংসতার কারণে যে স্থবিরতা তৈরি হয়েছিল এবং সবকিছু বন্ধ থাকার কারণে গত সাত দিনে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে ৮৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিদিন অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে গার্মেন্টস খাতেই প্রতিদিন ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর সরকার প্রতিদিন রাজস্ব হারিয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। পিআরআইর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, সহিংসতর কারণে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ। আর এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে রিজার্ভ সংকট আরও বেড়ে যাবে এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির হারও বেড়ে যাবে। শুধু তাই নয়, এই সহিংসতায় বাড়বে দারিদ্র্যের হারও।

এমন তথ্য তুলে ধরে পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর সময়ের আলোকে বলেন, বিগত দুই বছর ধরেই দেশের অর্থনীতি বহুবিধ সংকটকে সঙ্গে নিয়েই পথ চলছে। রিজার্ভ নিয়ে রয়েছে চরম দুশ্চিন্তা। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে শুধু ধনী শ্রেণির লোকরা ছাড়া দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে কষ্ট করে জীবনধারণ করতে হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যেও রয়েছে বহুবিধ সংকট। এভাবে এক রকম ধুঁকে ধুঁকে চলছিল দেশের অর্থনীতি। সেই ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিতে এবার আরও বড় ধাক্কা লাগল ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে এক সপ্তাহের অচলাবস্থার কারণে। এই ধাক্কা সামলানো কঠিন হবে দেশের অর্থনীতির। এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, এই অচলাবস্থার কারণে দেশের অর্থনীতির ক্ষতটার গভীরতা আরও বেড়ে গেল।

ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, আমরা হিসাব করে দেখেছি গত সাত দিনের প্রতিদিন অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা, আর সাত দিনে ক্ষতি হয়েছে ৮৪ হাজার কোটি টাকা। করোনাকাল ছাড়া দেশ আর কখনো এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়েনি। তবে করোনাকালের অর্থনৈতিক ধাক্কা আর এবারের ধাক্কার মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। করোনাকালের ক্ষতি দীর্ঘস্থায়ী হলেও সে সময় সরকারের হাতে রেকর্ড পরিমাণে রিজার্ভ ছিল, মূল্যস্ফীতির হারও অনেক কম ছিল।

এ কারণে তখন পরিস্থিতি দ্রুত সামলানো গেছে। আর এই সহিংসতা স্বল্প সময়ের জন্য হলেও এর ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে। তা ছাড়া করোনাকালে রাষ্ট্রের সম্পদের কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি, যেভাবে এবার রাষ্ট্রের সম্পদের ক্ষতি করা হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ রীতিমতো তলানিতে, মূল্যস্ফীতিও ১০ শতাংশের কাছে। এই পরিস্থিতিতে সংকট কাটিয়ে ওঠা সরকারের জন্য অনেক কঠিন হবে।

দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পে ক্ষতিটা হয়েছে বহুমুখী। এ খাতের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বিগত কয়েক মাস ধরে প্রকট গ্যাস সংকটের কারণে আগে থেকেই পোশাক উৎপাদনে ধস নেমেছিল। সে সঙ্গে শিল্প এলাকায় লোডশেডিংও বাধাগ্রস্ত হয়েছে উৎপাদন। এ কারণে আগে থেকেই সময়মতো পণ্য রফতানি করা যাচ্ছিল না, ক্রেতারা রফতানি আদেশ বাতিল করেছে কোটি কোটি ডলারের। এই অবস্থার মধ্যে কারফিউ জারির পর প্রায় সব শিল্প কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এতে বেকায়দায় পড়ে রফতানি খাত। সংকটের আগে উৎপাদিত রফতানি পণ্য ব্র্যান্ড-ক্রেতারা নিতে না পারায় সেগুলো কারখানা কিংবা বন্দরে পড়ে থাকে। পরিবহন সচল থাকার সময় চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো রফতানি পণ্যও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় শিপমেন্ট করা যায়নি। একই কারণে শিল্পের জন্য আমদানি করা কাঁচামালও বন্দর থেকে ছাড় করা যায়নি। এতে শুধু তৈরি পোশাক খাতেই দিনে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার। ইতিমধ্যেই অনেক ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান রফতানি আদেশ বিকল্প দেশে সরিয়ে নিয়েছে বলেও জানান উদ্যোক্তারা।

অন্যদিকে এই সংকটককালীন যাতে কোনো রকম ক্ষতিপূরণ ছাড়াই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রফতানিকারকরা পণ্য রফতানি করতে পারেন-সে দাবি ছিল। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সহিংসতার কারণে গত এক সপ্তাহ বন্দরে যেসব পণ্য পড়ে ছিল সেগুলো এখন রফতানি করতে গিয়ে রফতানিকারকদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সময়ের আলোকে বলেন, আমরা দেশে ব্যবসা করে যেন পাপ করছি। সহিংসতার কারণে বন্দরে আটকে ছিল পণ্য, আমাদের কোনো কারণে নয়। তবু চট্টগ্রাম বন্দরে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হচ্ছে রফতানিকারকদের কাছ থেকে। আজ (গতকাল) আমার নিজের একটি শিপমেন্টও করতে হয়েছে ক্ষতিপূরণ দিয়ে, কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো-বন্দরে পণ্য আটকে ছিল আমার কারণে নয়, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে। তা হলে আমাকে কেন জরিমানা দিয়ে পণ্য রফতানি করতে হবে। আমরা এ বিষয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সবাই বলছে-সরকারের কাছে আবেদন জানাতে, কিন্তু আবেদন জানিয়ে কবে সিদ্ধান্ত হবে-ততদিন কি আমার পণ্য বন্দরে পড়ে থাকবে। সহিংসতার পর আমরা যেদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি, সেদিন আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস যাতে ক্ষতিপূরণ না নেয়, তার অনুরোধ করেছিলাম। এ ছাড়া সহিংসতার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে তার জন্য করোনকালের মতো বিশেষ কোনো প্রণোদনা বা বিশেষ ছাড়ের অনুরোধও করেছি। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক যেন ঋণের কিস্তি দেওয়া ৬ মাসের জন্য স্থগিত রাখে সে দাবিও জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী সব শুনে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে সরকারের তরফ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসার আগেই বন্দরে যদি আমাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে পণ্য রফতানি করতে হয় তা হলে সেটি খুবই দুঃখজনক।

প্রভাব পড়েছে সব ধরনের ব্যবসায় সহিংসতার কারণে আমদানি-রফতানিসহ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বেশির ভাগ সেবা-পরিষেবা যেমন স্থবির হয়ে পড়েছে, তেমনই ক্ষুদ্র ব্যবসাও পড়ে অচলতার কবলে। প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সও আসছে না। আন্দোলনে সহিংসতা এর আগেও নানা সময় হয়েছে। তবে এবারের চিত্র ব্যবসায়ী নেতাদের কাছে অচেনা। তারা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ের ব্যবসা-বাণিজ্য কয়দিন বন্ধ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তবে হঠাৎ সব অচল হয়ে যাওয়ায় আগে থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। ছত্রাক পড়ে মালামাল নষ্ট হওয়ার পাশাপশি, কাঁচামাল পচে যাওয়া ও খাদ্যদ্রব্য মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার মতোও ঘটনা ঘটছে।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, অন্য সময়ে এক দিন দেশের দোকান বন্ধ থাকলে ক্ষতি হয় দিনে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা। এবারও সেই ক্ষতি হচ্ছে। তবে এবারের ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। 

তিনি বলেন, মেয়াদ শেষ হয়ে জুতার গাম ছুটে যাচ্ছে, চালে ছত্রাক পড়ছে, পরিবহন ব্যবস্থা একদম ভেঙে পড়েছে, কাঁচামাল নষ্ট হচ্ছে, এ ক্ষতির পরিমাণ অবর্ণনীয় ও অনিরূপণীয়। এদের কথা ভাবে কে? দেশে রয়েছে ২ কোটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। অনেকেই চা বিক্রি করে। হকাররা দিন আনে, দিন খায়। এদের কথা কেউ ভাবে না। এই সহিংসতার কারণে সব খাতের ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ই-কমার্সে ক্ষতি ৪০০ কোটি টাকা
ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ই-কমার্স খাতে প্রতিদিন প্রায় ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ হিসাবে গত সাত দিনে এ খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক না থাকায় ই-কমার্সের সঙ্গে এফ-কমার্স ব্যবসায়ও নেমে এসেছে স্থবিরতা। গত বুধবার থেকে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ ও পরদিন বৃহস্পতিবার রাত থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত মঙ্গলবার থেকে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেট চালু করে সরকার।

অপূরণীয় ক্ষতি ফুটপাথের ব্যবসায়ীদের
কারফিউ শিথিল ও অফিস-আদালতের কার্যক্রম শুরু এবং ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও কার্যক্রম শুরু করেছে। খুলতে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতানগুলো। তবে এখনও পরিবর্তন আসেনি রাজধানীর ফুটপাথের ব্যবসায়। ফুটপাথগুলোতে বিক্রি নেই বললেই চলে। সহিংসতায় সৃষ্ট অচলাবস্থায় ফুটপাথের ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। 

ফুটপাথের ব্যবসায়ীরা জানান, কারফিউ কিছু সময় শিথিল থাকলেও ক্রেতা আসছে না। এ সময়টাতে কর্মব্যস্ত মানুষ ছুটছেন অফিস-কর্মক্ষেত্রে। এ ছাড়া মানুষের হাতে বাড়তি পণ্য কেনার মতো টাকাও নেই। যে কারণে বিক্রি তলানিতে নেমেছে। বেশকিছু ফুটপাথের অনেক দোকান বন্ধ দেখা যায়। রাইড শেয়ারিংয়ে ক্ষতি ৫০ কোটি টাকা

মোবাইল ইন্টারনেট না থাকায় রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে এখনও চলছে অচলাবস্থা। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় গত সাত দিনে গাড়ি ও মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং খাতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা গত ১৭ জুলাই থেকে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৮ জুলাই থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ হয়ে যায়। গত ২৩ জুলাই থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে এখনও ফেরেনি মোবাইল ইন্টারনেট।

আবার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। কবে নাগাদ এসব স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া অনলাইনে লেনদেনসহ নিত্যদিনের বিভিন্ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close