প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে চাই। আর সেটাকে আমরা পর্যায়ক্রমে করে দিচ্ছি।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ছেলেমেয়েদের আধুনিক ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে চাই; তারা যেন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। সারা দেশে ইউনিয়নপর্যায়ে ব্রডব্যান্ড লাইন চালু করছি। কম্পিউটার শিক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। যেন তারা দ্রুত প্রযুক্তি শিখে নিতে পারে।
তিনি বলেন, এখনকার ছেলেমেয়েরা আমাদের সময়ের চেয়ে অনেক বেশি মেধাবী। তারা এগুলো সহজে শিখে নিতে পারবে। প্রযুক্তিগত শিক্ষায় তাদের আগ্রহ বেড়েছে।
এর আগে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন সরকারপ্রধান। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে পুরনো বই হাতে দেওয়া হত। বই কেনার ক্ষমতা ছিল না বাবা-মায়ের। এখন আর সেটা না। এখন সবার জন্য নতুন বই। আসলে নতুন বই হাতে পেলে তো ভালোও লাগে। নতুন বইয়ের ঘ্রাণটা শুনলে ভালো লাগে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কাজেই স্বাধীন দেশটাকে আমরা উন্নত করে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সবথেকে বেশি দরকার হচ্ছে, যারা ভবিষ্যৎ নাগরিক, তারা যেন শিক্ষায়-দীক্ষায় সব ধরণের প্রশিক্ষণে উন্নত হয়। আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকরা যেন আগামী দিনে সুন্দর একটা সমাজ পায়।
সরকারপ্রধান বলেন, একটা আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সে আদর্শটা হচ্ছে, এমন একটি সমাজ গড়ে তোলা যে সমাজে কোনও বৈষম্য থাকবে না; দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ হবে; উন্নত সমাজ হবে, সমৃদ্ধশালী হবে এবং বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্ব মর্যাদা পাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে দিয়েছি। এর পাশাপাশি স্বাধীনতার পর একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ যখন জাতির পিতা গড়ে তোলেন, তখনই তিনি বিনামূলে বই দেওয়া শুরু করেন। কাজেই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবার আমরা বিনামূলে বই বিতরণ শুরু করেছি।
তিনি বলেন, বৃত্তি প্রদানে আমরা গুরুত্ব দিই। আমরা একেবারে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত বৃত্তি দিচ্ছি। কারণ অনেক সময় অনেক বাবা-মা ছেলে-মেয়েদের পড়াতে পারে না। তাই তাদের ওপর যেন চাপ না পড়ে সেজন্য বিনা পয়সায় বই এবং বৃত্তি দিচ্ছি। সেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা স্কুলে টিফিনের ব্যবস্থা, সেটা প্রত্যেকটা স্কুল-কলেজ যেন নিজে করতে পারে সেভাবে আমরা উৎসাহ দিচ্ছি এবং সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সাহায্য আমরা করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা আরও বলেন, আজকে একটা বছর শেষ। আগামীকাল ইংরেজি নববর্ষ। সবাইকে আমি আগামীকালের জন্য ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।