
পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাডোস্লা সিকোরস্কি। ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেন মস্কোর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলে রাশিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে ইউরোপ আক্রমণে প্রস্তুত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাডোস্লা সিকোরস্কি। তিনি বলেছেন,
‘চলতি দশকের শেষের দিকে রাশিয়ার আক্রমণ করার সক্ষমতা সম্পর্কে ইউরোপকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
’বাণিজ্যিক পোলিশ রেডিও টক-এফএম-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারের বরাতে সোমবার (২৪ মার্চ) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এ খবর প্রকাশ করেছে।
সাক্ষাৎকারে সিকোরস্কি বলেন,
‘রাশিয়া বর্তমানে একা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে অক্ষম, তাই তারা তাৎক্ষণিকভাবে আরও বিস্তৃত আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হবে না। কিন্তু যদি ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়, এবং যদি রাশিয়া তার (ইউক্রেনের) সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নেয় ... তাহলে এই হিসাব বদলে যাবে।
’পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এমন এক সময়ে এই সতর্কবার্তা এলো যখন সৌদি আরবের রিয়াদে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে।
সিকোরস্কি বলেন, ‘দয়া করে মনে রাখবেন, ইউক্রেন এই আগ্রাসনের নিষ্ক্রিয় শিকার নয়। ইউক্রেন যুদ্ধ করছে এবং ইইউ ও পোল্যান্ডসহ তাদের মিত্রও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন,
‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইউক্রেনের জন্য এমন একটি দেশ হিসেবে টিকে থাকা যের দেশটি তার নিজস্ব নেতা বেছে নিতে পারে, তার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং বিভিন্ন উপাদানের একীকরণের দিকনির্দেশনা বেছে নিতে পারে।
’সপ্তাহান্তে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, ‘তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশ্বাস করেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়া অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য (চলমান) আলোচনায় জয় পেতে চায়।’
গত রোববার মার্কিন প্রতিনিধিরা রিয়াদে ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতদের সাথে আলোচনা করেছেন এবং ওই আলোচনাকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ফলপ্রসূ বলে বর্ণনা করেছেন। মার্কিন প্রতিনিধিদল সোমবার রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছে।
গত সপ্তাহে সিকোরস্কি বলেছিলেন,
‘রাশিয়া যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবমূল্যায়ন করে তবে ভুল করবে।
’গত বৃহস্পতিবার স্কাই নিউজের সাথে কথা বলার সময় সিকোরস্কি ট্রাম্পের চড়া মেজাজ এবং অপ্রচলিত দর কষাকষির কৌশল উল্লেখ করে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি মনে করেন পুতিন যথাযথভাবে সহযোগিতা করছেন না, তবে তিনি এখনও ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন বাড়াতে পারেন।