প্রকাশ: সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ পিএম (ভিজিট : ২৯৬)

ধুনট থানা। ছবি: সংগৃহীত
বগুড়ার ধুনট উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ (শাহীন) ১৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
সমন্বিত গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের চেয়ারম্যান ও মেসার্স খোকন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার (২২ মার্চ) ধুনট থানায় মামলাটি করেন। রফিকুল ইসলাম উপজেলার বেলকুচি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাঙালি-করতোয়া-ফুলজোড়-হুরাসাগর নদী পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের অধীনে উপজেলার শাকদহ এলাকায় নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। দরপত্রের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যবসায়ীকে নদীর তীর এলাকা থেকে ১৮ লাখ ঘনফুট বালু অপসারণের জন্য কার্যাদেশ দেয়া হয়।
ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৮ লাখ ঘনফুট বালু কিনে নিয়ে তা অপসারণ শুরু করেছেন সমন্বিত গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম। এরই মধ্যে প্রায় ১০ লাখ ঘনফুট বালু অপসারণ করা হয়েছে।
মামলায় শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বালু অপসারণের কাজে তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রফিকুল ও তার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ১৬ মার্চ বেলা তিনটার দিকে শাকদহ এলাকায় বালু পয়েন্টে গিয়ে তার (শরিফুল ইসলাম) প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোয়েল সরকারের কাছ থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন।
এ ঘটনায় রফিকুল ইসলামসহ ১৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শরিফুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা শাকদহ পয়েন্ট থেকে বালু অপসারণ বন্ধ করে দিয়েছেন।
মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম।
অভিযোগের বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, বাঙালি-করতোয়া-ফুলজোড়-হুরাসাগর নদী পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে নদীর সীমানা ছাড়াও স্থানীয় কৃষকের জমি থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে। এর মধ্যে মেসার্স সেলিম ট্রেডার্স এবং বিজয় এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গত বছরের ২১ আগস্ট ৩৫ লাখ টাকায় ২০ লাখ ঘনফুট বালু কিনে নেওয়া হয়। একই বালু গত ৩০ অক্টোবরে ক্রয় দেখিয়ে শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কিনেছেন বলে দাবি করছেন।
তিনি আরও বলেন, এই দাবির আইনি কোনো ভিত্তি নেই। চাঁদাবাজি কিংবা ছিনতাই নয়, নিলামে কেনা বালুর মালিকানা নিয়ে হয়রানি করতেই থানায় মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।