ই-পেপার বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫
বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫
ই-পেপার

বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫

নৌপথে ঈদযাত্রা
প্রস্তুত হচ্ছে ১৭৫ লঞ্চ, বাড়ছে নিরাপত্তা
প্রকাশ: সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫, ৯:০০ এএম আপডেট: ২৪.০৩.২০২৫ ৯:১৬ এএম  (ভিজিট : ২৬৫)
ছবি: সময়ের আলো

ছবি: সময়ের আলো

নৌপথে ঈদে যাত্রীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে ১৭৫টি লঞ্চ। নিরাপত্তায় নদীতে পুলিশি টহল বাড়ানোর পাশাপাশি সব নদীবন্দরে মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত সদস্য। এদিকে, নৌপথে আবারও যাত্রী ফেরাতে সদরঘাটে মেট্রোরেল স্টেশন করার দাবি করেছেন লঞ্চ মালিকরা।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীদের তেমন ভিড় নেই। দু-একজন করে আসছে। তবে বিকেলে ও ইফতারের পর তুলনামূলক যাত্রী বেশি আসতে দেখা গেছে। 

জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল রুটে ঈদ সামনে রেখে ডেকের ভাড়া ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৪০০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিন ২০০ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ২০০ টাকা এবং ডাবল কেবিনের ভাড়া ৪০০ টাকা বাড়িয়ে দুই হাজার ৪০০ টাকা করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালুর পর চাঁদপুর, ভোলা, চরফ্যাশন, লালমোহন, বরগুনা অঞ্চলে তেমন প্রভাব না পড়লেও বরিশাল, ভাণ্ডারিয়া, ঝালকাঠি অঞ্চলে লঞ্চসংখ্যা কমেছে। তবে ঈদের আগে সদরঘাটে লঞ্চের সংখ্যা বেড়ে যায়।

লঞ্চ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, আগের তুলনায় লঞ্চ কমেছে। ঢাকা থেকে প্রায় ৫০টি নৌ রুটে আগে লঞ্চ ছিল ২২৫টি। যাত্রী কমায় এখন লঞ্চের সংখ্যা ১৯০। যাত্রীসংকটে কমেছে নৌপথও। প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৬৫টি লঞ্চ চলাচল করে সদরঘাট থেকে বিভিন্ন নৌপথে।

২০২২ সালে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ধীরে ধীরে কমতে থাকে মানুষের নৌ পথের যাত্রা। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। যারা বেশিরভাগই ছুটতেন লঞ্চে। তারাও ক্রমশই ঝুঁকতে থাকে সড়ক পথে। শেষ তিন বছরের বন্ধ হয়ে গেছে বহু নৌ রুট। তবে, ঈদ বা যেকোনো উৎসবে এলে যাত্রী বাড়ে কয়েকগুণ। ব্যস্ত হয়ে পড়েন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। তবে তারা বলছেন, লঞ্চ খাতে নেই আগের মতো ব্যবসা। উল্টো অনেক মালিকই ভর্তুকি দিয়ে চালাচ্ছেন লঞ্চ। নৌপথে যাত্রী ধরে রাখাটাই এখন মূল লক্ষ্য বলেও জানান মালিকরা।

সুন্দরবন-৩ লঞ্চের সুপারভাইজার ইমরান আলী বলেন, ‘এখানকার আগের চিত্র তো এখন আর নেই। আগে যে রুটে ৩০টি লঞ্চ চলত, এখন সেখানে চলছে ৯-১০টি। এর মধ্যেও ঈদ ঘিরে আমাদের কোম্পানির লঞ্চ সংস্কার করা হয়েছে। সাধারণত ঈদের আগে বেশির ভাগ লঞ্চে রং করা হয়। কেউ আবার প্রয়োজনীয় সংস্কারও করেন। সংস্কারের জন্য আমাদের রুটে চলা বেশ কিছু লঞ্চ বর্তমানে ডকে আছে।’

এমভি পূবালী জাহাজের মালিক আলী আজগর বলেন, ‘সাধারণ ডেক যাত্রী যারা তারা যেদিন আসে সেদিনই উঠে। যারা কেবিনের যাত্রী আগে এক মাস আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রাখতো। তবে এবার এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ কেবিন চাইনি।’

অ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. সেলিম সময়ের আলোকে বলেন, ‘আমাদের লঞ্চে কেবিন আছে প্রায় ২০০টি। ঈদের যাত্রীর ভিড় শুরু হবে ২৫ রমজানের পর। গত কয়েক বছর ধরে এমনটাই দেখে আসছি।’

রাজধানীর মগবাজার থেকে আসা বরিশালগামী যাত্রী কামাল হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে পরিবার সবাইকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য এসেছি। আমি পরে যাব। গুলিস্তান, তাঁতিবাজার গাড়ি যানজট থাকলেও এবার লঞ্চ ঘাটে তেমন ভোগান্তি নেই মানুষের। ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গেই টিকিট পেয়েছি। হাতেগোনা মানুষের সংখ্যা।

বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, নানাবিধ কারণে বর্তমানে লঞ্চ সংখ্যা কমে গিয়েছে। এখন ৪১টি রুটে প্রায় ৬০টির মতো লঞ্চ চলছে। ঈদের চাপ এখনো শুরু হয়নি। মঙ্গলবার থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে পারে। চাপ সামাল দিতে বিশেষ লঞ্চ চলবে। এ চাপের উপর নির্ভর করছে যেসব রুটে এখন লঞ্চ চলছে না সেসব রুটেও কি লঞ্চ চলবে বা কতটি লঞ্চ চলবে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য র‌্যাব, মেট্রোপলিটন পুলিশ, নৌ-পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিস দল উপস্থিত থাকবে।

লঞ্চ মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক হান্নান মাহমুদ বলেন, আমরা ঈদ উপলক্ষে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। যাত্রী ভিড় বাড়লে যাত্রীদের বিলাসবহুল যাত্রার জন্য এবার একটি অত্যাধুনিক লঞ্চ যুক্ত হবে।




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close