
ছবি: সংগৃহীত
চালের দাম ক্রেতার নাগালে আসছেই না, উল্টো আরও বেড়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরে উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল থাকলেও সপ্তাহখানেকের মধ্যে চালের বাজার টালমাটাল হয়ে পড়েছে। মিল পর্যায়, পাইকারি ও খুচরা, সবখানে আবারও বেড়েছে চালের দাম। মিল পর্যায়ে কেজিতে দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা, পাইকারিতে বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা এবং খুচরাতে কেজিপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। হঠাৎ করেই ফের চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্রেতারা।
এদিকে হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মিলমালিক এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা যোগসাজশে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে নিজেদের মতো করে মূল্য নির্ধারণ করে দাম বাড়াচ্ছেন। এ ছাড়া করপোরেট ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও মিলমালিকরা যোগসাজশ করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন। এর প্রভাব পড়ছে খুচরা পর্যায়ে। এ ছাড়া করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বাজার থেকে বেশিরভাগ ধান চড়া দামে কিনে নেওয়ায় মিল মালিকরা চাহিদামতো ধান পাচ্ছেন না। এতে ধানের দামও মণপ্রতি বেড়ে গেছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। মূলত এসব কারণেই চড়ছে চালের বাজার। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, চাল দেশের মানুষের প্রধান খাদ্যপণ্য, তাই চালের দাম বাড়লে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় সাধারণ মানুষের।
এ মন্তব্য করে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন সময়ের আলোকে বলেন, ‘এবার রোজার মাসে রোজাকেন্দ্রিক পণ্যে মোটামুটি স্বস্তি মিললেও চাল বেশ ভোগাচ্ছে দেশের মানুষকে। বিগত কয়েক মাস দাম না বাড়লেও চালের বাজার উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল ছিল, কিন্তু হঠাৎ করেই একবারে চালের দাম কেজিতে ৬ টাকা, কোথাও ৮ টাকাও বেড়ে গেছে। একবারে যদি কেজিতে ৮ টাকা বাড়ে চালের তা হলে কীভাবে চাল কিনবে স্বল্প আয়ের মানুষ। কারণ গরিব পরিবারগুলোর মাছ-মাংস কেনার সামর্থ্য না থাকলেও তিন বেলার খাবারের জন্য চাল কিনতেই হয়। সুতরাং এভাবে চালের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের কষ্ট বেড়েছে। সরকারের উচিত হঠাৎ কেন চালের দাম এতটা বাড়ল তার সঠিক কারণ খুঁজে বের করা। সরকারকে অবশ্যই চালের বাজারে তদারকি বাড়াতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবজির বাজারে তদারকির জন্য কেউ না কেউ যায়, চালের বাজারে তেমন কেউ যায় না। এ ছাড়া যারা আমদানিকারক, তারাই মিলার, আবার তারাই করপোরেট গ্রুপ। তারা মিলেমিশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া বিগত সরকারের সময় বলা হতো, সবকিছু ঠিক আছে বাজারে, এখনও সেভাবেই বলা হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর আরও সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে।’
গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা দোকানে রশিদ, ডায়মন্ড, সাগর ইত্যাদি ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম ৮৫ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয় মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল, কেজি ৯৮-১০০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের জননী রাইস এজেন্সির ম্যানেজার কবীর আহমেদ সময়ের আলোকে বলেন, ‘পাইকারি পর্যায়ে ৫০ কেজির বস্তায় দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। এ ছাড়া পাইকারি দোকান থেকে ৯৫ টাকা কেজি মোজাম্মেল চাল কিনেছি; বিক্রি করছি ১০০ টাকা। আর অন্যান্য মিনিকেটের দামও ৮৫ টাকার ওপরে। দাম বাড়ায় মিনিকেটের বিক্রি আগের তুলনায় কমে গেছে।’
বাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, ভালো মানের নাজিরশাইল পাওয়া যাচ্ছে ৮৫-৮৮ টাকা কেজিতে। সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৭২-৭৫ টাকা এবং মাঝারি মানের নাজিরশাইল ৮০-৮২ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা যায়। ছোট বাজারে ও পাড়ার মুদি দোকানে দাম আরেকটু বেশি।
এ ছাড়া বাজারে ভালোমানের মোটা চালের কেজি এখন ৫৫-৫৬ টাকা। মাঝারি চাল কেনা যাচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৫ টাকায়। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক বছর আগের তুলনায় মাঝারি চালের দাম এখন কেজিতে ১৪ শতাংশ ও মোটা চালের দাম ১৫ শতাংশ বেশি।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ
কুষ্টিয়া সংবাদদাতা জানান, চাল উৎপাদনকারী জেলা কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকামে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে মিনিকেট চালের দাম। কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না মিনিকেট চালের দামে। জেলা প্রশাসন বলছে, মিনিকেটের দাম কমানোর বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তবে বাজার পরিস্থিতি বলছে ভিন্নকথা। গত শুক্রবার মিলগেটে মিনিকেট বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৮৪ টাকা দরে; যা ১ মার্চ ছিল ৭৭ টাকা। বুধবার কুষ্টিয়া পৌর বাজারে ২৫ কেজির বস্তা মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ২১৫০ টাকা দরে। অর্থাৎ প্রতি কেজি মিনিকেট চালের বিক্রয়মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা দরে। অর্থাৎ গত দুই সপ্তাহে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ টাকা, যা গত বছর ১০ অক্টোবর প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম ছিল ৬৬ টাকা দরে অর্থাৎ গত পাঁচ মাসে মিনিকেটের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা।
দুই সপ্তাহ আগে পাইকারি দাম ছিল ৭৬ টাকা কেজি, সেই চাল এখন ৮৫ টাকা কেজি। আমরা অর্ডার দিয়েও মিলগেট থেকে চাল কিনতে পারছি না। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে মিলগেটে মিনিকেট চালের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ অটোর মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিলমালিক সমিতির কুষ্টিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন বলেন, খাজানগর মোকামে স্বাভাবিক সময়ের তুলনা একেবারেই মজুদ কম। মিলে ধান ও চালের মজুদ থাকলে বাজার স্বাভাবিক থাকে। জয়নাল আবেদিন আরও বলেন, গত শনিবার উত্তরবঙ্গের কয়েক মিলমালিকের কাছ থেকে তারা ধান কিনেছেন ২ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে। গত সপ্তাহেও সরু ধানের এই বাজার দর ছিল ১ হাজার ৯০০ টাকা। এ ছাড়া এ মুহূর্তে ফরিয়া ও কৃষকদের ঘরে কোনো সরু ধান নেই। উত্তরবঙ্গের অনেক মিলমালিকের কাছে কিছু ধান মজুদ আছে। তারা বেশি দামে বিক্রি করছেন।
খাজানগর এলাকার সবচেয়ে বড় চাল ব্যবসায়ী দেশ এগ্রো ফুডের স্বত্বাধিকারী আবদুল খালেক বলেন, ‘বড় বড় আটটি করপোরেট কোম্পানি রয়েছে, বাজারে ধানের দাম তারাই বাড়াচ্ছে। এ ছাড়া দেশে বন্যা হওয়ার কারণে ধান উৎপাদন কম হয়েছে। এমনকি বর্তমানে ধানের দামও বেশি। এ জন্য চালের দাম বাড়াতে তারা বাধ্য হয়েছেন।’ এ ব্যবসায়ী আরও দাবি করেন, বাজারে এখন মিনিকেট ধানও নেই। প্রতিদিন আমার মিলে যে চাহিদা তার ২৫ শতাংশ ধান পাচ্ছি না। অর্থাৎ ৭৫ শতাংশ চাহিদা অনুযায়ী ধান পাচ্ছি না। এ ছাড়া বর্তমানে প্রতিমণ মিনিকেট ধান ২ হাজার ২০০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দ্রুত যোগাযোগ করে দিনের শুরুতে চালের দাম নির্ধারণ করে থাকেন মিলমালিকরা। এমন বিষয় জেলা প্রশাসকও অবগত রয়েছেন। এমনকি করপোরেট ব্যবসায়ীদের কাছে জেলার কয়েকজন মিলমালিক যোগসাজশ করে চাল তাদের কাছে সরবরাহ করার তথ্যও রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুষ্টিয়া কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুফি মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান বলেন, বাজারে কোনো ধানেরই ঘাটতি নেই, একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কারণে-অকারণে চালের দাম বৃদ্ধি করছে।
নওগাঁয় কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়েছে চালের দাম
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি লোকমান আলী জানান, দেশের অন্যতম শীর্ষ ধান-চাল উৎপাদনকারী জেলা নওগাঁয় বেড়েছে চালের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি সরু চালে বেড়েছে ২-৪ টাকা। পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়ায় দাম বেড়েছে খুচরা বাজারেও। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চালে প্রকারভেদে বেড়েছে ১-৩ টাকা।
এদিকে গত দেড় মাস ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে মোটা জাতের চালের দাম। রমজান মাসে চালের দাম বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিম্নমধ্যম আয়ের মানুষদের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরু চাল হিসেবে পরিচিত জিরাশাইল (জিরা) ও কাটারিভোগ (কাটারি) ধানের আমদানি বর্তমানে বাজারে নেই বললেই চলে। চাহিদার তুলনায় যে সামান্য ধান আমদানি হচ্ছে, তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। স্থানীয় বাজারে দুই থেকে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে জিরাশাইল ও কাটারিভোগ ধানের দাম মণপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ধানের মূল্যবৃদ্ধির কারণে চালের দামও বেড়েছে।
নওগাঁ শহরের আড়তদারপট্টির পাইকারি চালবাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে মানভেদে প্রতি কেজি চালের দাম ২-৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে জিরাশাইল ৭৮-৮০ টাকা এবং কাটারিভোগ ৮২-৮৩ টাকা দরে বিক্রি করছেন মিলমালিক ও আড়তদাররা। অপরিবর্তিত রয়েছে মোটা চাল বলে পরিচিত স্বর্ণা-৫ জাতের চালের দাম। প্রতি কেজি স্বর্ণা-৫ জাতে চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৩ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এই মোকামে মানভেদে প্রতি কেজি জিরাশাইল ৭৫-৭৬ টাকা এবং কাটারিভোগ ৭৯-৮০ টাকা করে বিক্রি হয়েছিল।
অপরদিকে নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে মানভেদে প্রতি কেজি স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৫৪-৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৮০-৮২ টাকা এবং কাটারিভোগ ৮৪-৮৬ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৫২-৫৩ টাকা, জিরাশাইল ৭৮-৮০ টাকা এবং কাটারিভোগ ৭৯-৮২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। এ ছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা কাটারি চাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকা কেজি দরে। এই চালের বাজার দর এক মাস ধরে স্থিতিশীল রয়েছে।
নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী তাপস খাদ্য ভান্ডারের প্রোপাইটার শ্রী তাপস কুমার মণ্ডল বলেন, জিরা এবং কাটারি চালের ৫০ কেজির বস্তা বর্তমানে ১০০-১৫০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে খুচরা বাজারেও দাম কিছুটা বেশি।
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, দেশে উৎপাদিত জিরা এবং কাটারি ধান বাজারে তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এ দুটি চালের দাম একটু বেশি। এ ছাড়া স্বর্ণা-৫ জাতের চালের দাম দেড় মাস ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। স্বর্ণা-৫ বাজারে তেমন বিক্রিও হচ্ছে না। মৌসুমের নতুন ধানের ফলন ভালো হলে চালের দাম কমে আসবে। নতুন ধান না আসা পর্যন্ত দেড়-দুই মাস জিরা এবং কাটারি চালের দাম এরকমই থাকতে পারে। এলসির মাধ্যমে আনা চালগুলোর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
দিনাজপুরে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২-৪ টাকা পর্যন্ত
দিনাজপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, দিনাজপুরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চালের বাজার। গত সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত। মিলমালিকরা বলছেন, বাজারে ধানের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে চালের দামও। তবে বাজারে চিকন ধানের সরবরাহ একেবারে নেই বললেই চলে।
দিনাজপুর শহরের সবচেয়ে বড় চালের বাজার বাহাদুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে চিকন চালের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রকারভেদে ২ থেকে ৫ টাকা। তবে মোটা ও মাঝারি চালের বাজার দর স্বাভাবিক রয়েছে। বর্তমানে এ জেলার খুচরা বাজারে আটাইশ চাল প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২৫০ টাকা। গত সপ্তাহেও একই দাম ছিল এ মানের চালের। মিনিকেট চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৯৫০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৩ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৭৫০ টাকা। মোটা গুটি স্বর্ণা চাল গত সপ্তাহে ছিল ২ হাজার ৪৫০ টাকা আর এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪৭০ টাকা পর্যন্ত। নাজিরশাইল চাল ২৫ কেজির প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ১ হাজার ৯৫০ টাকা বস্তা। এদিকে পাইজাম বা গুটি স্বর্ণ চালের দাম না বাড়লেও বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৫০ টাকায়। তবে পাইকারি বাজারে ৫০ কেজির বস্তায় দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।
দিনাজপুর বাহাদুর বাজারের চালের আড়তদার মেসার্স বি কে ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বিশু সময়ের আলোকে বলেন, মোটা চালের তুলনায় চিকন চালের দাম বেশি বেড়েছে। চিকন চালের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২ টাকা থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত। আমরা মিলারদের কাছ থেকে যে দামে চাল কিনছি তা যুক্তিসঙ্গতভাবে কিছুটা লাভ নিয়ে বিক্রি করছি। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন মিলমালিকরা। এখানে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই।