প্রকাশ: রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫, ১২:০০ পিএম আপডেট: ২৩.০৩.২০২৫ ১২:০৩ পিএম (ভিজিট : ৩৪৭)

প্রতীকী ছবি
ইসলামে নামাজের পরেই জাকাতের প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনের ১৯টি সুরায় ৩২ বার জাকাতের কথা এসেছে। আল্লাহ বলেন, ‘তাদের ধনসম্পদ থেকে সদকা গ্রহণ করো, যার সাহায্যে তুমি তাদের গুনাহমুক্ত করবে এবং তাদের পবিত্র করে দেবে।’ (সুরা তওবা, আয়াত: ১০৩)
জাকাত আদায় না করাকে মুশরিকদের বৈশিষ্ট্য ঘোষণা করে আল্লাহ বলেছেন, ‘যেসব মুশরিক জাকাত দেয় না, যারা আখেরাতকে অস্বীকার করে, তাদের ধ্বংস অনিবার্য।’ (সুরা হামিম সাজদা, আয়াত: ৬-৭)
প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম স্বাধীন, সুস্থ মস্তিষ্ক, ঋণের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের ওপর জাকাত ফরজ।
সুরা তওবার ৬০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা জাকাত প্রদানের আটটি খাত বর্ণনা করেছেন। যথা—
১. গরিব—যার নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই।
২. মিসকিন—যার মালিকানায় কোনো সম্পদ নেই।
৩. ইসলামি সরকারের পক্ষ থেকে জাকাত সংগ্রহে নিয়োজিত ব্যক্তি।
৪. ইসলামের দিকে চিত্তাকর্ষণের জন্য জাকাত দেওয়া।
৫. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি।
৬. নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের বিনিময়ে স্বাধীন হওয়ার চুক্তিতে আবদ্ধ দাস-দাসী।
৭. মুসাফির—সফর অবস্থায় অভাবগ্রস্ত মানুষ।
৮. আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী।
এই আটখাতের বাইরে অন্য কোনো খাতে জাকাত দেওয়া যাবে না। জাকাতদাতা নিজের মা-বাবাকে জাকাত দিতে পারবে না; যদিও তারা অসহায় বা গরিব হোক। মা-বাবাও সন্তানদের জাকাত দিতে পারবে না। সন্তানের দায়িত্ব হলো মা-বাবার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া। (ফাতাওয়া তাতারখানিয়া, ২/২৭৩; বাদায়েউস সানায়ে, ২/১৬২)