ই-পেপার সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫
সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫
ই-পেপার

সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫

গতি ফেরাতে হবে অর্থনীতির
প্রকাশ: রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫, ৫:১১ এএম আপডেট: ২৩.০৩.২০২৫ ৫:২২ এএম  (ভিজিট : ২২৭)

বাংলাদেশের একটি অন্যতম গ্রুপ হচ্ছে ইফাদ গ্রুপ। ইফাদ নামের অর্থ হচ্ছে, উপকার করা। আবার এর অন্য অর্থ রয়েছে, সাহায্য করা। ইফাদ গ্রুপ ১৯৮৫ সাল থেকে একটি সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে  আসছে। ইফাদের প্রধান স্বপ্নদ্রষ্টা ইফতেখার আহমেদ টিপু। যার হাত ধরে এদেশে অটোস পরিবহন শিল্প হাঁটি হাঁটি পা করে অনেকদূর এগিয়েছে। দেশ থেকে একেবারে বিদেশে। 

ইফাদ কোথায় নেই। মাল্টি প্রোডাক্টস থেকে শুরু করে হোম কেয়ার, মোটরস, অটো সার্ভিস, এন্টারপ্রাইজ, তথ্য-প্রযুক্তি, ফিশ হ্যাচারি পর্যন্ত। কৃষি খাতে ইফাদ বাংলাদেশে এখনও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশের কৃষি খাতে অবদানের জন্য ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পুরস্কার পেয়েছে ইফাদ গ্রুপ। 

ইফাদ অশোক লেল্যান্ডের যানবাহন মডেল আমদানি, বিপণন ও বডি বিল্ডিংয়ে নিযুক্ত। আবার ইফাদ অটোসের পণ্যের মধ্যে রয়েছে-বাস, খোলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, হালকা বাণিজ্যিক যানবাহন, বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন যানবাহন ও ট্রাক্টর। ইফাদ গ্রুপ ইতিমধ্যে এগ্রো কমপ্লেক্সের অধীনে ময়মনসিংহে একটি বড় ধরনের ফিশ হ্যাচারি স্থাপন করেছে। যা এখন দেশের কৃষকসহ অন্যদের সেবায় নিয়োজিত। 

ইফাদ মাল্টি প্রোডাকস ময়দা থেকে শুরু করে বিস্কুট, নুডলস, কেক, চিপসসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করে যাচ্ছে। যা ইতিমধ্যে ভোক্তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিশেষ করে ভোক্তাদের স্বাদের বৈচিত্র্য আনতে ইফাদ সবসময় সচেতন। 

ইফাদ মোটরস ২০২১ সাল থেকে অ্যাপোলো টায়ার প্রায় দুইশ ডিলারের মাধ্যমে বাজারজাত করছে। পরবর্তী সময়ে দেশের বাইরে এই টায়ারের সুখ্যাতি বয়ে আনে। 

ভারতের অশোক লেল্যান্ড বিশ্বের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক পরিবহনের জন্য বিখ্যাত। ইফাদ এই অশোক লেল্যান্ড থেকে বিভিন্ন মডেলের পরিবহন ছাড়াও যন্ত্রাংশ বাংলাদেশে অ্যাসেম্বলিং করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের খাতায় ইফাদ অটোস একটি অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ ঋণ গ্রহীতা হিসেবে বিবেচিত। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালে এশিয়ার ওয়ান ম্যাগাজিনে ইফাদ বিশ্বের সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ার্ড লাভ করে। আবার ইফাদ অটোস ২০২৪ সালে অশোক লেল্যান্ড গ্লোবাল ডিলার সম্মেলনে সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হয়। যে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় তুরস্কের ইস্তানবুলে। 

২০১৮ সালে ইফাদ অটোস গালফ অয়েল ইন্টারন্যাশনালে যৌথভাবে বাংলাদেশে কাজ শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে মিরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্লান্ট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। 

এতকিছু সাফল্য ও কৃতিত্বের নেপথ্যের কারিগর চালিকাশক্তির কাজ করেছেন ইফতেখার আহমেদ টিপু। স্বনামধন্য ইফতেখার আহমেদের সুযোগ্য তিন পুত্রের মধ্যে একজন হলেন তাসকিন আহমেদ, যিনি বর্তমানে ইফাদ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী। যিনি পিতার পথ অনুসরণ করে আগামী সোনালি দিনের পথরেখায় পথ  চলতে চান। একাগ্রতা, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার স্পৃহা যার মধ্যে সবসময় কাজ করে তিনি হলেন আজকের ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। গত ১৫ ডিসেম্বর তিনি নির্বাচিত হয়ে সভাপতি হিসেবে যোগদান করেন। দেশে ও দেশের বাইরে পড়াশোনায় পারদর্শী তাসকিন আহমেদ এমবিএ-এর ছাত্র হিসেবে মেধার স্বাক্ষর রাখেন। তিনি বর্তমানে ইফাদ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। ১৯৯৯ সালে তার পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন। তিনি গ্রুপের বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক ইউনিটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

সম্প্রতি ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদের সঙ্গে সময়ের আলোর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিমের বর্তমান ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপচারিতা হয়। আলাপচারিতার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো। 

শুরুতে জানতে চাওয়া হয় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদের বেড়ে ওঠার গল্প। তিনি এই প্রশ্ন শুনে কিছুটা অবাক হলেও, পরে অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় জানালেন, বাবার হাত ধরেই এই বেড়ে ওঠা। অর্থাৎ তিনি যে একজন সফল ব্যবসায়ী, মূলত বাবা ইফতেখার আহমেদ টিপুর উৎসাহ, উদ্দীপনার কথা জানান। আর তার উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে এত দূর আসা। তবে পথ এখনও অনেক বাকি। কারণ তাসকিন আহমেদের তেমন কোনো বয়স হয়নি। সুদর্শন তাসকিন আহমেদ সদালাপী ভঙ্গিতে সবসময় হাসিমুখে কথা বলেন। এটাই তার স্বভাব। 

কথার পৃষ্ঠে কথায় প্রসঙ্গ এসে গেল, কেন অন্য পেশায় গেলেন না? এই প্রশ্নে তিনি স্বভাবসিদ্ধ অনুযায়ী বললেন, আমরা তিন ভাই। তিনজনই বাবার উৎসাহে, হাত ধরে ব্যবসা জগতে এসেছি। যে কারণে অন্য কোনো পেশার কথা ভাবিনি। 

তাসকিন আহমেদ বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাবার হাত ধরে ব্যবসায় এসেছি। যে কারণে বাবা এখনও আমার পথপ্রদর্শক। বাবা সবসময় দেশের মঙ্গলের জন্য চিন্তাভাবনা করেন। দেশের কথা ভেবেই আমরা ব্যবসায় নিয়োজিত হয়েছি। ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যেও মানুষকে সেবা করার বড় সুযোগ রয়েছে। 

ব্যবসা করতে এসে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে? তাসকিন অত্যন্ত সাবলীল ভঙ্গিতে মুখে মৃদু হাসি ফুটিয়ে জানালেন, চ্যালেঞ্জ কোথায় নেই। সর্বত্র চ্যালেঞ্জ আছে। তবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কাজ করে যেতে হবে। এই মুহূর্তে প্রয়োজন অর্থনীতিতে গতি ফিরিয়ে আনা। এর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা। যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হবে ততই ব্যবসায়ীদের জন্য মঙ্গল। আর ব্যবসায়ীরা সেটা প্রত্যাশা করে। তবে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে সাময়িক বলে মনে করি। কিছুটা হোঁচট খেলেও আগামীতে পরিস্থিতি উন্নতি হবে বলে আশা করি। দেশবাসী জানে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দেশ থেকে প্রচুর টাকা নিয়ে গেছে। সেই টাকা ফেরত আনার ব্যাপারে সরকার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আমি বিশ্বাস করি পাচার করা টাকা দেশে ফেরত আসলে দেশের অর্থনীতি অনেক উন্নত হবে।

কথা প্রসঙ্গে আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঢাকা চেম্বারের প্রস্তাবের বিষয় ওঠে আসে। তিনি জানান, সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে প্রাক-বাজেট নিয়ে সভা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা করা, ভ্যাটের একক হার নির্ধারণ করা, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অটোমেটেড করপোরেট কর রিটার্ন চালু করাসহ আরও কিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বর্তমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান অত্যন্ত ভালো। আর তিনি ব্যবসায়ীদের পালস ধরতে পারেন। এ কথা সত্যি দেশ পরিচালনার জন্য ট্যাক্সের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে ডাইরেক্ট ট্যাক্স। আমি মনে করি করের আওতা বাড়ানো উচিত। এখনো অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে ছোঁয়া লাগেনি।

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আসলে বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যে খুব ভালো তা বলা যাবে না। এক ধরনের  স্থবিরতা চলে এসেছে। সেই কোভিড থেকে শুরু করে দেশে যেমন অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো ছিল না। তেমনই বৈশ্বিক অর্থনীতির অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। কোভিডের পর এলো রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। এই সময়ে দেশের অর্থনীতিতে বেশ কিছুটা প্রভাব পড়েছে। এখন ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিশ্বজুড়ে এক ধরনের অর্থনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ফলে দেশে কি কোনো ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে হয়? তাসকিন আহমেদ বলেন, এই শুল্ক আরোপের প্রভাব এখনও আমাদের দেশে না পড়লেও, অদূর ভবিষ্যতে পড়তেও পারে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো বলা যাবে না। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। আবার ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখন একটা আশা-নিরাশার দোলাচলে দোল খাচ্ছে। নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাংকের সুদের হার বেশ চড়া। আবার অনেক ব্যাংকের অবস্থাও ভালো নয়। তবে আশার কথা বর্তমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ব্যাংকের গতি ফেরানোর দিকে বেশ মনোযোগ দিয়েছেন। রেমিট্যান্সপ্রবাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। আবার রিজার্ভের পরিমাণ মন্দ নয়। বিনিয়োগের পরিবেশ এখন তেমন ভালো না হলেও আশা করছি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার এলে বিনিয়োগ পরিবেশ আবার চাঙ্গা হবে। 

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হিসেবে তাসকিন আহমেদ দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। তিনি দুবাই সফর সম্পর্কে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছি। দুবাইয়ে গিয়ে আমার মনে হয়েছে, আমাদের অবকাঠামো সুবিধা যদি নিশ্চিত করতে পারি তা হলে বিনিয়োগকারীরা অবশ্যই আকৃষ্ট হবে। ওখানকার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আগ্রহ রয়েছে। এই আগ্রহের পূর্ণতার ব্যাপারে আমাদের কাজ করতে হবে। আমি দুবাইয়ের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে  কথা বলে খুব আশাবাদী। সেখানে আমাদের বিনিয়োগ করার সম্ভাবনা খুব উজ্জ্বল। তবে এ কথা ঠিক বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজন লজিস্টিক সাপোর্ট। যে কারণে বলা যেতে পারে আমরা যদি বিনিয়োগকারীদের এ সাপোর্ট দিতে পারি তাহলে আমাদের দেশে প্রচুর বিনিয়োগ আসবে। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর অনেক সুযোগ আছে। একথা সত্য বিনিয়োগের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।

কিছুদিন আগে শ্রীলংকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদের সঙ্গে। খবরটি মিডিয়াতে প্রকাশ পেলেও, নতুন করে প্রশ্ন ছিল, দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে কী কথা হয়েছে? তাসকিন আহমেদ অকপটে স্বীকার করলেন, তাদের কাছ থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার প্রযুক্তিগত সহায়তা পেতে পারি। তারা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ব্যাপারে বেশ অভিজ্ঞ। তবে তাদের অন্যতম ব্যবসা মাছ ধরা হলেও পর্যটনের ক্ষেত্রেও তাদের অবদান কম নয়। তাদের জিডিপির হার বাংলাদেশের তুলনায় কোনো অংশে কম নয়। 

প্রসঙ্গক্রমে চলে এলো পাকিস্তানের কথা। তাসকিন আহমেদ বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো যেতে পারে। দীর্ঘ দিন পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য একেবারে ছিল না বললেই চলে। দুই দেশের মধ্যে কী ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যে আলাপ হয়েছে। আপনারা জানেন, ইতিমধ্যে পাকিস্তান থেকে বেশ কিছু পণ্য বাংলাদেশে এসেছে। 

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রশ্নে তাসকিন আহমেদ বলেন, আমাদের প্রস্তুতি কতটুকু রয়েছে তা আগে উপলব্ধি করতে হবে। সরকার যদি এখনই গ্র্যাজুয়েশনের দিকে চলে যায় তা হলে অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে রফতানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে ঢাকা চেম্বারের ভূমিকা প্রসঙ্গে সভাপতি হিসেবে তাসকিন আহমেদ বলেন, এই চেম্বারের বেশিরভাগ এসএমই খাত নিয়ে কাজ করে। বলা যেতে পারে ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ব্যাপারে ঢাকা চেম্বার সবসময় সচেতন। তবে এ ব্যাপারে সরকারের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। ঢাকা চেম্বারের কাজ হচ্ছে এসএমইদের  ভয়েস সরকারের কাছে তুলে ধরা।

গ্যাসের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে তাসকিন আহমেদ বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি গ্যাসের দাম বাড়ানো মানেই শিল্প কল-কারখানাগুলো লোকসানের মুখে ফেলে দেওয়া। গত কয়েক বছরে গ্যাসের দাম কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের যা প্রয়োজন সরকার তা পঞ্চাশ ভাগও দিতে পারে না। আবার এর মধ্যে যদি গ্যাসের বাড়তি দাম চাপিয়ে দেয় তা হলে ব্যবসার খরচ বেড়ে যাবে। সরকারের উচিত গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে বরং গ্যাসের সিস্টেম লস কমানো। 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close