দুর্নীতি লুটপাট ও হানাহানির রাজনীতি বন্ধে ছাত্র-জনতার ঐক্য জরুরি: ডা. ইরান

শুক্রবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ছাত্র মিশন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। ছবি: সময়ের আলো
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে নবীন প্রবীণদের ঐক্যের বিকল্প নেই মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে এক সাগর রক্তের মাধ্যমে যে নতুন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেশবাসী প্রত্যাশা করছে তা নসাৎ হতে দেব না।
তিনি বলেন, দুর্নীতি লুটপাট, দোষারোপ হানাহানি ও প্রতিহিংসার রাজনীতির কবর রচনা করতে সামা সুবিচার ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লড়াই সংগ্রাম জোরদার করতে হবে। তাই ছাত্র মিশনের নেতাকর্মীদের তৃণমূল পর্যায়ে সুসংগঠিত হতে হবে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) কাঁটাবনে একটি রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ ছাত্র মিশন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, আমরা দুর্নীতি দুঃশাসন চাইনা, আমরা শান্তি সমৃদ্ধি ও ভাতৃত্বের বাংলাদেশ চাই। আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান করে আইনের শাসনের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। লুটপাটের রাজনীতির কারনে বাংলাদেশ মাথা তুলতে পারেনি। দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবীদ, আমলা ও সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মুখোশ জাতির সামনে তুলে ধরতে ছাত্র ও যুবসমাজের ভুমিকা রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মো. মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল ইসলাম মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জোহরা খাতুন জুঁই, মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদি, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল ইসলাম সজিব, দফতর সম্পাদক মো. মিরাজ খান, ছাত্র মিশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাকিল হাসনাত, সাইফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান রিফাত, কেন্দ্রীয় নেতা সাদ্দাম হোসেন লিটন, রায়হান উদ্দিন সনি ও মো. সিয়াম মোল্লা প্রমুখ নেতারা।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন তথ্য সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্র ফোরাম, ইসলামি ছাত্র মজলিস, জাগপা ছাত্রলীগ, গনতান্ত্রিক ছাত্রদল, এনডিএম ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র পক্ষের প্রতিনিধিরা।