ই-পেপার শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
ই-পেপার

শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫

‘আর্মি বা পেছন থেকে কেউ রান করলে আমি আসব না’
প্রকাশ: শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৯:৫৫ পিএম  (ভিজিট : ১৫২৪)
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফাইল ছবি

৫ আগস্টের ঘটনাপ্রবাহের পূর্বাপর, ড. ইউনূসের দায়িত্বগ্রহণসহ সে সময়ের কয়েক দিনের বর্ণনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

শুক্রবার (২১ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।

ভিডিও-বার্তায় আসিফ মাহমুদ বলেন, স্যারের সাথে (ড. ইউনূস) আমার কমিউনিকেশন  টিমের সাথে কমিউনিকেশন চলছিল। পাঁচ তারিখ মূলত স্যারের সাথে আবার কথা হয়। ওদের সাথে রেগুলার কথা হচ্ছিল। প্রতিদিন দুই তিন বার কলে কথা বলছিলাম।

তিনি বলেন, স্যার (ড. ইউনূস) যখন সার্জারিতে ঢুকবেন, ঢোকার আগে কথা হয়। যখন শেখ হাসিনা পালিয়ে গেল, সন্ধ্যায় আমরা চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অফিসে। তখন আমি স্যারের সাথে কথা বলতে চাই যে এখন তো পতন হয়ে গেছে। এখন একটা ডিসিশনে আসতে হবে। তখন মঈন ভাই স্যারের সাথে আমাদেরকে যুক্ত করেন। তো চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের অফিসেই নাহিদ ভাই আর আমি আমার ফোন থেকেই লাউড স্পিকারে স্যারের সাথে কথা বলি। আমরা বলি যে স্যার এখন একটা ডিসিশনে আসতে হবে। স্যার সার্জারিতে চলে যাচ্ছিলেন। তারপরও ডিসিশন নেয়াটা এক ধরনের মৌন সম্মতি দিলেন যে আমি আসব। এর মাঝে তো দুই দিন স্যারও আলোচনা করেছেন বিভিন্ন পর্যায়ে।

তবে বিস্তারিত বলার আগে প্রথমে এটা অ্যানাউন্স হওয়ার পরে আমাদের অনেকগুলো বিষয় ছিল ডিসকাস করার মতো। আমরা চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অফিসে প্রেস ব্রিফিং করি সেদিন রাতে এবং সরকারের রূপরেখাটি কী হবে সেখানে ঘোষণা করে একটা অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার ঘোষণার কথা বলি। এছাড়াও আরও রূপরেখা বলি যে, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, তারপর সিভিল সোসাইটি, তারপরে অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে অংশগ্রহণ এই পলিসি গুলো আমরা সেখানে ঘোষণা করি। স্যারের নামটা ঘোষণা করা হয়নি।

আরও বলেন, সেদিন রাতে স্যারের সাথে আবার চূড়ান্ত কথা হয়, রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটা থেকে দুইটা আড়াইটা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা। স্যারের সাথে নাহিদ ভাইয়ের আমার কলে কথা হয় এবং সেখানে আমরা বিস্তারিতভাবে বিভিন্ন বিষয়গুলো আলোচনা করি এবং স্যারের কিছু কনসার্ন ছিল। সেগুলো আমরা ডিসকাস করি যে, এটা আবার এক এগারোর মতো একটা সরকার হবে কি না। আমরা ক্ষমতায় বসব কিন্তু পেছন থেকে আর্মি আমাদেরকে চালাবে কিনা অথবা অন্য কেউ আমাদেরকে ডিটেক্ট করবে কিনা। স্যারের কনসার্ন ছিল এটা ছিল যে আমি আসলে আমাকে এই স্বাধীনতাটা দিতে হবে। এটা আর্মি রান করবে কিংবা পেছন থেকে কেউ রান করবে, এইটা হলে আমি আসব না।

তিনি বলেন, আমরা স্যারকে বলেছি যে আমাদের পজিশনে এটাই যে গভর্নমেন্ট যদি আমরা ফর্ম করে, গভর্নমেন্ট স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে এবং এখানে সেনাবাহিনী কিংবা অন্য কোনো অথরিটি যদি হস্তক্ষেপ করতে চায়, সেক্ষেত্রে আমরা মাঠ থেকে সেটাকে চ্যালেঞ্জ করব আরকি। এই ধরনের একটা নিশ্চয়তা স্যারকে আমরা দেই আমাদের থেকে। তারপর এক কথায় যে উপদেষ্টা পরিষদ কেমন হবে?

আসিফ বলেন, স্যার আমাদেরকে বলেন যে তোমরা ঠিক করো। স্যার কিছু সাজেশন দেন। তো ওই নামগুলোর সাথে আমরা যে নামগুলো ঠিক করি প্রায় কমন ছিল অনেকগুলো। তারপর আমরা একটা লিয়াজো কমিটি করা হয় যারা হচ্ছে সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে একটা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করবে। ওই লিয়াজো কমিটির আহবায়ক ছিল মাহফুজ ভাই। কমিউনিকেশন শুরু করে দেয় জামাতের সাথে, বিএনপির সাথে আরও যারা রাজনৈতিক দল আছে, সিভিল সোসাইটি আছে তাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে। সবার থেকে নাম প্রস্তাব আসতে থাকে। কিছু নাম ছিল কমন। আমাদের এখানেও কমন। যেমন কিছু মানুষজন যেমন সালাউদ্দিন আহমেদ স্যার উনি তো অর্থনীতিতে বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে যদি আমরা চিন্তা করি তাহলে ওয়ান অব দ্য বেস্ট নামটা সব দিক থেকেই আসে। এরকম কিছু কমন নাম আসে আবার কিছু নাম দেখা যায়। আমরা ইনক্লুড করি বা কোন এক পক্ষ থেকে আসে।




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close