প্রকাশ: শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৫:০২ পিএম (ভিজিট : ৩৯৮)

গাজায় ইসরায়েলি হামলার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অস্থিরতাকে কূটনৈতিকভাবে কাজে লাগিয়ে গাজায় তীব্র হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইউক্রেন যুদ্ধ, ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক অভিযান এবং অন্যান্য বৈশ্বিক সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি অন্যদিকে থাকায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই সুযোগ নিচ্ছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি ইসরায়েলকে গাজায় তার সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কৌশলগত সুবিধা দিচ্ছে।
তবে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে— এর দীর্ঘমেয়াদি কোনো কৌশল রয়েছে কি না।
এ বিষয়ে আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক সেরহান আফাকান বলেছেন, ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আলোচনা চলমান। পাশাপাশি ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান বিশ্ববাসীর মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে দিচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নেতানিয়াহু গাজায় তীব্র হামলা চালাচ্ছেন।
প্রতিবেদন মতে, ইসরায়েল যেহেতু বিশ্বের এই অস্থির পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে হামলা জোরদার করছে, এতে নিশ্চয় গাজায় ইসরায়েলের একটি শেষ খেলার পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে ইসরায়েল গাজার জনসংখ্যাগত ও রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে আমূল পরিবর্তন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সেরহান আফাকান।
এখন প্রশ্ন হলো— ইসরায়েলের কি গাজার জন্য দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা রয়েছে? নাকি কোনো রাজনৈতিক প্রস্থান ছাড়া শুধু ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাবে?
আফাকান ইসরায়েলের আগ্রাসন ও সম্প্রসারণবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক আলোচনা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি সতর্ক করে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে এর দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি পুরো অঞ্চলকে বহন করতে হবে।