প্রকাশ: শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৪ এএম আপডেট: ২১.০৩.২০২৫ ১২:০৮ এএম (ভিজিট : ২৪৩)

ছবি: সময়ের আলো
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের গরীব অসহায় হতদরিদ্রদের মাঝে বরাদ্দকৃত ঈদুল ফিতরের উপহার (ভিজিএফ) চাল নানা অনিয়মের মধ্যে দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দরিদ্রদের জন্য ভিজিএফের কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু ভিজিএফের চাল বিতরণকালে বিক্রির অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ করে স্থানীয়রা জানান ভিজিএফ এর সরকারি চাল কিছু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয় মেম্বার চেয়ারম্যান। বিতরণের দিন ব্যবসায়ী লোকজন চাল তুলে নিয়ে যায়। মেম্বার চেয়ারম্যানরা অনেককে একাধিক কার্ড দেয়, তারা চাল নিয়ে এসে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। ওই দিন সরেজমিনে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ব্যবসায়ীদের চালের বস্তা মাথায় করে নিয়ে আসতে দেখা যায়।
মনতৈল গ্রামের আজিজুল মিয়া নামের এক ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে গতকাল ইফতারের আগ মুহূর্তে পিক-আপ করে প্রায় ৪০/৫০ বস্তা চাল পাচার করে নিয়ে যাওয়ার সময় চাল বুঝাইকৃত পিক-আপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের পাশে বুল্লা সিংহ গ্রাম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দেয়ালে ধাক্কা লাগে। এতে করে বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের স্কুলের দেয়াল ভেঙে যায়।এ সময় স্থানীয়রা আটক করে ৪০/৫০ বস্তা চাল সহ পিক-আপ গাড়ি।তখন মনতৈল গ্রামের আজিজুল মিয়া বলে আমি স্কুলের দেয়ালের ভাঙ্গা অংশ মেরামত করে দিব। তখন বুল্লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বাবা এসে বলেন আমি আজিজুল মিয়া কে চিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন ইফতারের আগে যখন চাল পাচার করে নিয়ে যায় তখন পিক-আপ গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে জনতারা এসে ৪০/৫০ বস্তা চাল সহ আটক করে আজিজুল মিয়া ও ড্রাইভারকে। পরবর্তীতে ড্রাইবার ও অভিযুক্ত আজিজুল মিয়া পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, চাল বিক্রি হয়েছে, কিন্তু কে বা কারা বিক্রি করেছে জানিনা।
এ ব্যাপারে বুল্লা সিংহ গ্রাম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান কামালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন চাল নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের স্কুলের দেয়াল ভেঙে দেয়ার ঘটনাটি আমি অবগত হয়েছি। যে ব্যক্তি চাল নিয়েছে উনাকে আমি চিনতে পেরেছি।সে দেয়াল মেরামত করে দিবে বলেছে।তার বাড়ি মনতৈল।
এ ব্যাপারে ৬ নং বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোকন চন্দ্র গোপ সৌরভের সাথে হলে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদে চাল ক্রয় বিক্রির ঘটনা ঘটেনি। রাস্তায় কোথায় থেকে কি চাল আসছে আমি কিছু জানিনা।
দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার পজীব কর্মকর্তা এমকে শাহেদ বলেন, ১৯০ বস্তা চাল বরাদ্দ ছিল, উপকার ভোগীদের মাঝে আমি নিজে উপস্থিত থেকে বিতরণ করেছি, চাল কে, কোথায় থেকে ক্রয় বিক্রয় করছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি খুঁজ নিয়ে দেখবো।