ই-পেপার শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫
শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫
ই-পেপার

শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫

প্রকল্প বিলাস থামছে না
এলজিইডির প্রকল্পে হরিলুটের ছক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ৫:১০ এএম  (ভিজিট : ৪৫৬)
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে প্রতিটি প্রকল্পে ৭০ শতাংশ খরচ বাড়ানো হয়েছে। অথচ কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি পতিত সরকার। এ ছাড়া প্রকল্পগুলোতে দেদার ব্যয় বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই ব্যয় বাড়ানো রীতি যেন এখনও থামছে না। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য প্রকল্পে ব্যয় সংকোচন এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প কাঁটছাট করা। অথচ আগের সরকারের দেখানো পথেই যেন হাঁটছে সরকারি সংস্থাগুলো।

বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভারি, ইমারজেন্সি অ্যান্ড রেসপন্স (বি-স্ট্রং) প্রকল্পে একটি স্ট্রিট লাইটের দাম ধরা হয়েছে ৭২ হাজার টাকা। প্রকল্প ঘিরে এ ধরনের অযৌক্তিক প্রস্তাব এবং ব্যয়ের খাত নিয়ে ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। একই সঙ্গে প্রকল্পে অস্বাভাবিক হারে ব্যয় নির্ধারণে হরিলুটের ছক দেখছে কমিশন। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তিক অঞ্চলে সড়কের পাশে এই স্ট্রিট লাইট স্থাপন কতটা যৌক্তিক সে প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া ব্যয়ও ধরা হয়েছে আকাশচুম্বী। এই ব্যয়ের খাত উদ্যোগী সংস্থা স্থানীয় সরকার বিভাগকে যৌক্তিকভাবে কমানোর পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।

জানা গেছে, প্রকল্পের উন্নয়ন প্রস্তাবে (ডিপিপি) সোলার স্ট্রিট লাইট সরবরাহ ও স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯ কোটি টাকা। আর এই স্ট্রিট লাইটের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ৪ হাজারটি। এর মধ্যে সরকারের জোগান (জিওবি) দেওয়ার কথা রয়েছে এক কোটি টাকা এবং প্রকল্পে সহায়তা থেকে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ কোটি টাকা।
ডিপিপির এই তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, একটি সোলার স্ট্রিট লাইট সরবরাহ ও স্থাপনে খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭২ হাজার ৫০০ টাকা। তবে কী মানের বা কত ক্ষমতাসম্পন্ন স্ট্রিট লাইট ব্যবহার করা হবে সেটি প্রস্তাবে উল্লেখ করেনি উদ্যোগী সংস্থা।

তথ্য মতে, বাংলাদেশে স্ট্রিট লাইটের দাম ৫৪৯ থেকে ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে স্ট্রিট লাইটের দাম সাধারণত ধরন, গুণমান ও বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তন হয়ে থাকে। মোশন সেন্সরের মতো উন্নত ফিচার, উচ্চ ওয়াটসম্পন্ন স্ট্রিট লাইট ৬ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।

জানা গেছে, বি-স্ট্রং এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার খরচ করবে ৪০০ কোটি টাকা এবং প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ঋণ সহায়তা দেবে ১ হাজার ৭৪০ কোটি। প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। বন্যা ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকা বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগের ছয়টি জেলা যথাক্রমেÑফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মোট ৩৬টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে।

অন্যদিকে প্রকল্পটি নিয়ে সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে মূল্যায়ন কমিটির সভা (পিইসি) অনুষ্ঠিত হয়। পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ছায়েদুজ্জামান এতে সভাপতিত্ব করেন।

কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান আশিষ কুমার পিইসি সভার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সময়ের আলোকে বলেন, প্রকল্পে বিভিন্ন ব্যয়ের খাত সংশোধন করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

স্ট্রিট লাইটের ব্যয়ের খাত সম্পর্কে তিনি বলেন, পিইসি সভায় স্ট্রিট লাইটের ব্যয়ের খাত বাদ দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া এই প্রকল্পে স্ট্রিট লাইটের ব্যবহার কতটা যৌক্তিক? এমন প্রশ্নের জবাবে এই সিনিয়র সহকারী প্রধান বলেন, কেউ প্রস্তাব করতেই পারে। তবে প্রস্তাব করলেই সেটি পাস করানো হবে তেমনটা নয়। প্রকল্পটি নিয়ে আগে যাচাই-বাছাই করা হবে। তারপর সুপারিশ করা হয় বলে জানান তিনি।

এ ছাড়া পিইসি সভায় জানানো হয়, প্রকল্পে দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ খাতের ব্যয় ২ কোটি টাকা এবং শিক্ষা উপকরণ (বিদ্যালয়), কম্পিউটার (ডেস্কটপ), বজ্র নিরোধক অঙ্গসহ বিভিন্ন অঙ্গেও ব্যয় যৌক্তিকভাবে কমাতে বলেছে পরিকল্পনা কমিশন। পাশাপাশি যানবাহন কেনার পরিবর্তে ভাড়ায় সংগ্রহ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬০টি মোটরসাইকেল কেনার পরিবর্তে ৩৬টি মোটরসাইকেল কেনার সংস্থান রেখে ব্যয় প্রাক্কলন করতে বলেছে কমিশন।

সভায় প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল পাঁচ বছরের পরিবর্তে চার বছর নির্ধারণ করার সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। কমিশন তার সুপারিশে বলেছে, প্রকল্পের মাধ্যমে কতগুলো সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ/পুনর্নির্মাণ/পুনর্বাসন অথবা প্রশস্তকরণ করা হবে তার সংখ্যা সুস্পষ্টভাবে ডিপিপিতে উল্লেখ করতে হবে। একই সঙ্গে জরুরি গ্রামীণ সড়ক পুনর্বাসন অঙ্গে উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কের পরিমাণ পৃথকভাবে উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের গৃহীত কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে প্রকল্পভুক্ত কাজের দ্বৈততা পরিহার করতে বলেছে পরিকল্পনা কমিশন।

অন্যদিকে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী সময়ের আলোকে বলেন, ব্যয় বাড়ানোর রীতি থেকে আমরা এখনও বের হতে পারিনি। এটি আমাদের একটা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। আর এগুলো করছে আগের সরকারের লোকগুলো। কেননা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যারা আছে তারাই তো এর আগে কাজগুলো করেছে, যাতে করে টাকা নয়ছয় করা যায়। ওই লেভেলে এখনও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।

প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা কী ধরনের প্রকল্প মূল্যায়ন করবে সেটি জানান দেওয়া প্রয়োজন। এমনকি নির্দেশনার বাইরে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না এ মর্মে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা পাঠালে টাকা নয়ছয় হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

অন্যদিকে প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমে উল্লেখ করা হয়েছে, অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রপাতি (এফএসসিডি) নির্মাণ করা হবে। এতে বরাদ্দে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে সরকার জোগান দেবে ৫ কোটি টাকা এবং প্রকল্প থেকে ঋণ সহায়তা থাকছে ১০০ কোটি টাকা। ২৫টি বহুমুখী জলবায়ু স্থিতিশীল শেল্টার পুনর্নির্মাণ স্থাপনে খরচ হবে ২০৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ১০ কোটি ও ঋণ সহায়তা ধরা হয়েছে ১৯৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ৬০০ কিলোমিটার জরুরি গ্রামীণ রাস্তার পুনর্বাসনে ব্যয় ৮৮৪ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ৬০ কোটি এবং প্রকল্প সহায়তা থেকে ধরা হয়েছে ৮৪২ কোটি টাকা।

এ ছাড়া ইমারজেন্সি অপারেশন সিস্টেম সরবরাহ ও স্থাপন (এফএসসিডি), আইসিটি ইকুইপমেন্ট ও ইনফ্রা অ্যান্ড জিআইএস, শিক্ষা উপকরণ (বিদ্যালয়), যন্ত্রপাতিসহ ল্যাবরেটরি সুবিধার উন্নয়ন, বজ্রপাত থেকে রক্ষায় ব্যবস্থা স্থাপন, অসম্পূর্ণ এমডিএসপি শেল্টার সম্পূর্ণকরণ, বিদ্যমান শেল্টারে সক্ষমতা বৃদ্ধি, বক্স কালভার্ট পুনর্নির্মাণ, সেতু পুনর্নির্মাণ, খাল খনন এবং গ্রামীণ সড়ক পুনর্বাসন করা হবে।

প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশে বলা হয়েছে, স্থিতিশীল অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে অধিক সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে বন্যার ঝুঁকি থেকে বাইরে নিয়ে আসা। দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং রেসপন্সের ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, শিক্ষাগত সুবিধা উন্নততর করা এবং অত্যাবশ্যক সেবাসমূহ সহজলভ্য করার জন্য সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন করা। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় দারিদ্র্য কমানো লক্ষ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রকল্প প্রস্তাবনায় উদ্যোগী সংস্থা স্থানীয় সরকার বিভাগ আরও বলেছে, বি-স্ট্রং প্রকল্পটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বৈদেশিক অর্থায়নের সুবিধার্থে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নেই। তবে চলমান সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটে (আরএডিপি) চলতি অর্থবছর ২০২৪-২৫ এ মন্ত্রণালয় থেকে সুপারিশসহ প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের এডিপিতে বৈদেশিক অর্থায়নের সুবিধার্থে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এ বিভাগ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যদিকে উদ্যোগী সংস্থা প্রকল্পের পটভূমিতে উল্লেখ করেছে, গত বছরের ২১ আগস্ট ভারতের ত্রিপুরায় একটি বাঁধ উপচে পড়া পানির প্রবাহের সঙ্গে ভারী বৃষ্টির ফলে দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলাজুড়ে ৭৩টি উপজেলা এবং ৫২৮টি ইউনিয়ন/পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় হঠাৎ করে ভারী বৃষ্টির ফলে আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর উজানের পানির কারণে দেশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ফলে বন্যা ও ভূমিধসে মোট ৭১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। 

এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের প্রায় ৫৮ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে ১০ লাখের বেশি মানুষ বন্যা আক্রান্ত কমিউনিটিগুলোতে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। সর্বগ্রাসী এ বন্যার কারণে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং প্রায় ৩ হাজার ৫০০টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রাম। বন্যায় গ্রামীণ রাস্তাঘাট, কৃষিক্ষেত্র এবং মাছের পুকুর তলিয়ে যাতায়াত ও অভিগমন ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলে স্থানীয় জীবিকার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে বলে উল্লেখ করেছে উদ্যোগী সংস্থা।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ঘটে যাওয়া ওই দুর্যোগে প্রায় তিন লাখ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও মৎস্য চাষে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রাণিসম্পদে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এমন প্রেক্ষাপটে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন জরুরি বলে মনে করছে উদ্যোগী সংস্থা স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক হবে।




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close