ই-পেপার বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০২৫
বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০২৫
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০২৫

দুর্বল ব্যাংক টিকবে কি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ৩:৫৮ এএম  (ভিজিট : ২৫৮)
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের লুটপাট, জবরদখল ও অনিয়ম-দুর্নীতিতে দেশের ব্যাংক খাত ধ্বংসের মুখে পড়ে যায়। এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকোর মতো কোম্পানিগুলো জনগণের আমানতের টাকা ঋণের নামে লুট করেছে। তাদের ধারাবাহিক লুটপাট ও পাচারের কবলে পড়ে সরকারি-বেসরকারি অনেক ব্যাংক প্রায় দেউলিয়া। এর মধ্যে ১০-১৫টি ব্যাংক একেবারে দুর্বল হয়ে পড়ে। ব্যাংকগুলো ধার-দেনা করে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাক্ষিণ্যে টিকে আছে। তবে এসব ব্যাংক কতদিন এভাবে চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আওয়ামী আমলে হওয়া ব্যাংক লুটপাটের প্রকৃত চিত্র পরিষ্কার হয়ে উঠে ৫ আগস্টের পর। প্রকাশ হয় কারা ভুয়া কোম্পানি খুলে কোন ব্যাংক থেকে কী পরিমাণ টাকা সরিয়েছে। বর্তমান গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্বল ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেন। অনেক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অব্যাহতি দেন। অন্যদিকে দুর্বল ব্যাংকগুলোর জন্য প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে তারল্য সহযোগিতাও দেন। এর ফলে কয়েকটি ব্যাংক প্রাথমিক ধাক্কা সামলে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। তবে এখনও ধুঁকছে আরও ৫-৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধ্যমতো চেষ্টা করছে ব্যাংকগুলো যেন টিকে যায়। এরপরও যদি দুর্বল ব্যাংকগুলোর কোনো গতি না হয় সে ক্ষেত্রে সমাধান কি? এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু উদ্যোগ সামনে রেখে কাজ করছে। প্রথমত আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অডিট করানো হচ্ছে, যা এখনও চলমান। প্রকৃত অবস্থা জানার পর কোনোটিকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হতে পারে। কোনোটির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে সেফটি রিকভারি এজেন্সিকে। কোনোটিতে বসানো হতে পারে প্রশাসক।

এদিকে দুর্বল ব্যাংকগুলোর জন্য ‘ব্যাংক রেজুলেশন আইন’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণ সহজ করতে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে আইনটি চূড়ান্ত করার কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। খসড়া ইতিমধ্যে অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ অধ্যাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেবে। এর আওতায় অস্থায়ী প্রশাসক নিয়োগ, নতুন বা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ, তৃতীয় পক্ষের কাছে শেয়ার, সম্পদ ও দায় হস্তান্তর, গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি সেতু ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ব্যর্থ ব্যাংক বিক্রির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান সময়ের আলোকে বলেন, ‘প্রথমত কথা হলো বেশ কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। তবে কোন কোন ব্যাংক দুর্বল এবং কোনটাকে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হবে তা সুনির্দিষ্ট করে তিনি বলেননি। তিনি সাধারণভাবে একটা মন্তব্য করেছিলেন, যে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে হয়তো টিকানো যাবে না বা এগুলোকে টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে আমি মনে করি, দুর্বল ব্যাংকগুলোর কোনোটায় প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া, কোনোটার ক্ষেত্রে সবল ব্যাংককে বলা একীভূত করার জন্য, কোনোটি সেফটি রিকভারি এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। আমি যতটা জানতে পারছি এ রকম বিভিন্ন চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দুর্বল হওয়া কোনো ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া ভালো কোনো সমাধান নয়। কেননা এতে গ্রাহকের ক্ষতি হয় বেশি। আইন অনুযায়ী কোনো কারণে ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে যত টাকাই জমা থাক, আইন অনুযায়ী গ্রাহক ২ লাখের বেশি ফেরত পাবেন না। যদিও এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগে চেষ্টা করবে দুর্বলগুলোকে টিকিয়ে রাখার। বন্ধ করার প্রসঙ্গ আসবে আরও অনেক পরে। কোনটা বন্ধ করবে, কোনটা করবে না, সেটিও আমরা জানি না। মোস্তাফিজুর বলেন, ব্যাংকিং খাত খুবই স্পর্শকাতর একটি খাত। তাই যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে নিতে হবে। ব্যাংকে মানুষ টাকা রাখে বিশ্বাসের ওপর। তাই তাদের আমানতের সুরক্ষার চিন্তা সবার আগে করতে হবে।

দুর্বল ব্যাংকগুলোর কী হাল : গভর্নর হিসেবে ড. আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পর মোট ১১টি ব্যাংককে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত করেন। এর মধ্যে কয়েকটি ছিল এস আলমের মালিক সাইফুল ইসলামের কব্জায়। ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক দুর্বল হয়ে পড়ে এস আলমের লুটপাটের কারণে। এর বাইরেও নানা রকম অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় ন্যাশনাল ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) ও আইএফআইসি ব্যাংক দুর্বল হয়ে পড়ে। কয়েক দিন আগেও এসব ব্যাংকের এমন দুর্দশা ছিল যে, গ্রাহকের টাকা দিতে ব্যর্থ হচ্ছিল চরমভাবে। গ্রাহকরা ঢাকাসহ সারা দেশের অনেক ব্রাঞ্চে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় নতুন করে টাকা রাখা তো দূরের কথা, আগের জমানো অর্থ তুলে নিতে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েন। ফলে ব্যাংকগুলোর আমানতও নেমে আসে তলানিতে। সংকটময় এই পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রথম ধাপে ৬-৭ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহযোগিতা দেওয়া হয়। তবে চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন টাকা ছাপিয়ে কয়েক ধাপে ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো তারল্য সহযোগিতা দেয়।

কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে ৬ ব্যাংক : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য সহযোগিতা নিয়ে দুর্বল ১১টি ব্যাংকের মধ্যে ৬টি কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ভালো অবস্থার দিকে যাওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), আইএফআইসি ব্যাংক ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। গত ছয় মাসে ইসলামী ব্যাংক ১৭ হাজার কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহ করতে পেরেছে। এ ছাড়া গত ছয় মাসে ব্যাংকটিতে সাড়ে ১২ লাখ নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। অন্যদিকে আইএফআইসি ব্যাংক ৪ হাজার কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক গত ছয় মাসে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা নিট আমানত সংগ্রহ করেছে, যার মধ্যে ৯০ শতাংশ এসেছে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে। এসআইবিএল গত বছরের সেপ্টেম্বরে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের পর ছয় মাসের ব্যবধানে ব্যাংকটি নতুন করে ৯০০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে। এ ছাড়া গত বছরের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে। একইভাবে এক্সিম ব্যাংক ও আল-আরাফাহ ধীরে ধীরে ভালোর দিকে যাচ্ছে।

এখনও ভয়াবহ সংকটে ৫ ব্যাংক : দুর্বল ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৬টি ভালোর দিকে গেলেও এখনও ধুঁকছে ৫টি। এর মধ্যে চারটি এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেগুলো হলো বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক। এর বাইরে আরেকটি হচ্ছে ন্যাশনাল ব্যাংক। পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের পরও ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থার উন্নতি হতে সময় লাগছে। সংকটে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও প্রতিদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চাইছে।

দুর্বল ব্যাংকগুলোর কী হবে, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা : বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহিমদা খাতুন সময়ের আলোকে বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ভালো অবস্থায় নিতে হলে কঠোর তদারকির মধ্যে রাখতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানে আগে সুশাসন ছিল না। এরই মধ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলোর বোর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন করে গঠন করা হয়েছে। এটি অবশ্যই ভালো দিক। এ ছাড়া দুর্বল ব্যাংকগুলো ঠিক করার জন্য ব্যাংক রেজুলেশন অর্ডিন্যান্স বানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্ডিন্যান্সের আওতায় প্রতিষ্ঠানগুলোর মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এটির ড্রাফট তৈরি করা হয়েছে এবং মতামতের জন্য ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছে। তারপর চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে হয়তো তারল্য সহযোগিতা দিয়ে দেখা হচ্ছে যে দুর্বল ব্যাংকগুলো ভালো করতে পারে কি না। এরপরও যদি ঘুরে দাঁড়াতে না পারে তা হলে হয়তো তখন ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হবে। এ ছাড়া অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে দিয়ে দেওয়া হতে পারে। এ ধরনের ভালো ভালো কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে, তা না হলে দুর্বল ব্যাংগুলোকে ভালো অবস্থানে নেওয়া কঠিন হবে।

একীভূত করার অভিজ্ঞতা ভালো না : বিগত সরকার এবং আবদুর রউফ তালুকদার গভর্নর থাকার সময় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বলগুলোর একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। প্রথমে পদ্মা ব্যাংককে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি আর বাস্তবায়ন করা যায়নি। তা ছাড়া প্রশ্নবিদ্ধ ছিল তখনকার একীভূত করার পদ্ধতিও। এ বিষয়ে ড. ফাহমিদা খাতুন সময়ের আলোকে বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ভালোগুলোর সঙ্গে একীভূত করা হয়তো সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে। যদিও বিগত সরকারের আমলে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কোনোরকম অডিট না করে, কোনোরকম তদারকি না করে হুট করেই তখন বলা হলো এই ব্যাংক ওইটার সঙ্গে একীভূত হবে, অমুক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হবে। এটি এভাবে ভাগাভাগির বিষয় নয়। সারা বিশ্বেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত করার সুন্দর প্রক্রিয়া রয়েছে। দুর্বল ব্যাংক ভালো ব্যাংককে অফার করবে একীভূত হতে চেয়ে। এরপর অডিট করে দেখা হবে দুর্বল ব্যাংকের প্রকৃত চিত্র আসলে কেমন। সব দেখে হয়তো ভালো ব্যাংক নিতে আগ্রহী হবে। জোর করে একীভূত করা যায় না। ব্যাংক একীভূত হলে গ্রাহকের টাকার কোনো ক্ষতি হবে না, কিন্তু কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে গ্রাহকের ক্ষতি হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক অবসায়ন বা বন্ধ হয়ে গেলে আমানতকারীরা সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ফেরত পাবেন। অর্থাৎ কেউ যদি কোনো বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্যাংকে ১০ বা ৫০ লাখ টাকা বা ১ কোটি টাকাও রাখেন, তিনি কেবল ২ লাখ টাকা ফেরত পাবেন।

দুর্বল ব্যাংক সম্পর্কে কি বলেছিলেন গভর্নর : গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এক আলোচনায় অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, দুর্বল কিছু ব্যাংককে টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। সমস্যাগ্রস্ত কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে চেষ্টা হচ্ছে সুশাসনের মাধ্যমে সবাইকে বাঁচিয়ে রাখতে। কিন্তু সব যে বেঁচে যাবে, তা নয়। কোনো কোনো ব্যাংকের আমানতের ৮৭ শতাংশ একটি পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গভর্নরের মন্তব্য ভালোভাবে নেননি ব্যাংকাররা : নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি ব্যাংকের শীর্ষ এক কর্মকর্তা সময়ের আলোকে বলেন, গভর্নর হিসেবে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি। দুর্বল ব্যাংকগুলো টিকে থাকার চেষ্টা করছে। অধিকাংশ দুর্বল ব্যাংকেই এখন স্পন্সর ডিরেক্টর মাত্র একজন। বাকিগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়োগ দেওয়া লোক। ব্যাংকগুলোকে টিকিয়ে রাখতে হলে উদ্যোক্তাদের জন্য ওপেন ছেড়ে দেওয়া দরকার। এতে যারা টাকা আনতে পারবে তারা ডিরেক্টর হতে পারবে।
যা বললেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র : এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন সময়ের আলোকে বলেন, দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারল্য সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন করে আর দেওয়া হচ্ছে না। এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফরেনসিক অডিট চলছে। খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র দেখা হচ্ছে। সবকিছু দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গভর্নরের মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, গভর্নর স্যার কোন প্রেক্ষাপটে বলেছেন সেটি তো আর আমি বলতে পারব না, তবে তিনি বাইরে যেভাবে বলেন সেভাবে এখানে এসে বলেন না।




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close