মিয়ানমারে পাচারকালে ১৪ মহিষ জব্দ, নিলামে বিক্রি
প্রকাশ: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ৯:৩০ এএম আপডেট: ১৯.০৩.২০২৫ ১০:০৮ এএম (ভিজিট : ১০৫)

ছবি: সময়ের আলো
মিয়ানমার থেকে পাচারকালে টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা ১৪টি মহিষ জব্দ করেছেন। এর মধ্যে একটি মহিষ মারা গেলে বাকি ১৩টি মহিষ নিলামে বিক্রয় করা হয়েছে। এসব মহিষগুলো মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক স্টেশনে নিলামের মাধ্যমে মহিষগুলো বিক্রি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক স্টেশনে সুপার বি এম আব্দুল্লাহ আল মাসুম। তিনি জানান, গত সোমবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির সদস্যরা টেকনাফ উপজেলা বিভিন্ন এলাকা থেকে জব্দ করা ছোট বড় ১৪টি মহিষ জব্দ করে কাস্টমস শুল্ক স্টেশনে জমা দেন। এরমধ্যে সোমবার রাত ১০টার দিকে একটি মহিষ উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের বিজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
তিনি বলেন, বাকি থাকা আরও ১৩টি মহিষ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নিলামের উঠানো হলে সর্বোচ্চ মূল্য মেসার্স আসিফ ট্রেডিং ভ্যাটসহ ১১ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। নিলামে প্রায় ৬৬ জন অংশগ্রহণ করেন।
টেকনাফ প্রাণিসম্পদ চিকিৎসক হারাধন সুশীল বলেন, অসুস্থজনিত কারণে একটি মহিষ মারা গেছে। আরও বাকি ১৩টির চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মেসার্স আসিফ ট্রেডিংয়ের মালিক কাদের হোসেন বলেন, প্রকাশ্য নিলামে ৬৬ জন ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেন। নিলামের আগেরদিন রাতে একটি মহিষ মারা যাওয়ায় নিলাম ডাককারীরা আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন।
এরপরও সবকিছু মিলিয়ে ভ্যাটসহ ১১ লাখ টাকায় ১৩টি মহিষ ক্রয় করে নিয়েছি। আনুষঙ্গিক খরচ বাদ দিয়ে কয়েক হাজার টাকা লাভ হতে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক স্টেশনে ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, বিজিবি কাস্টমস কর্মকর্তা সাংবাদিকসহ সকলের উপস্থিতিতে ৬৬ জন নিলাম ডাককারীর সর্বোচ্চ মূল্যে সরকারি কোষাগারে নিলামের টাকা জমা দেওয়ার পর ১৩টি মহিষ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।