প্রকাশ: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৬ এএম (ভিজিট : ১৩০)

ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার চান্দিনায় দুই এনজিওকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় নির্জন বাগানে নিয়ে তারেক রহমান নামের পুরুষ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নারী কর্মীকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করা হয়। মোবাইল ফোনে ধারণ করা বিবস্ত্র ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থও আদায় করে অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
গত সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চান্দিনা পৌরসভার তুলাতলী দক্ষিণপাড়া দিঘির পাড়ের একটি বাগানে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা আইডিএফ নামের একটি এনজিওর চান্দিনা শাখায় কর্মরত। পরদিন মঙ্গলবার ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন এনজিওকর্মী তারেক রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আইডিএফ নামের ওই এনজিওর দুই কর্মী তুলাতল গ্রামে ঋণের কিস্তি আদায় করতে যায়। তখন সন্ধ্যা নেমে আসে। এ সময় কয়েকজন যুবক তাদের আটক করে তুলাতলী গ্রামের শেষে এতবারপুর মালিবাড়ি সংলগ্ন একটি মৎস্য প্রজেক্টে পাড়ে নিয়ে আদায় করা কিস্তির টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় রুহুল আমিন নামের এক লোক দেখে ফেলায় সেখান থেকে হাত ও চোখ বেঁধে তাদের তুলাতলী দক্ষিণ পাড়া দিঘির পাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় পুরুষ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে এবং বৈদ্যুতিক শক দেয়। নারী কর্মীকে বিবস্ত্র করে নিপীড়ন চালায় এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আবার চাঁদা দাবি করে। এ সময় ওই নারী তার বোনকে ফোন করে এবং নির্যাতনকারীদের বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠায়। ওই টাকা পাওয়ার পরও নারীকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে গ্রামের লোকজন টের পেয়ে ডাকাত বলে ধাওয়া করলে নির্যাতনকারীরা পালিয়ে যায়।
আইডিএফ এনজিওর ঋণ আদায়কারী তারেক রহমান বলেন, আমরা কিস্তির টাকা আদায় শেষে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। বাগানে নিয়ে আমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে এবং বৈদ্যুতিক শক দেয়। আর ওই নারী কর্মীকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করে। তারা তাকে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ২ লাখ টাকা দাবি করে। বিকাশে ২০ হাজার টাকা এনে দিই। কিন্তু তারা বাকি টাকা পেলে ভিডিও ডিলিট করবে বলে জানায়। এদিকে, ২০ হাজার টাকা নেওয়ার পরও তারা ওই নারীর ওপর নির্যাতন চালায়। এ সময় গ্রামবাসী টের পেয়ে ধাওয়া দেয় এবং আমাদের উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
চান্দিনা থানার ওসি নাজমুল হুদা বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আমরা তাদের থানায় এনে বিস্তারিত শুনে মামলা নিয়েছি। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।