প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৭:০৩ পিএম (ভিজিট : ১৩৬)

আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: সময়ের আলো
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে ভিজিএফ চাল বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে চারজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সামন্তসার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সামন্তসার ইউনিয়নের চর সামন্তসার এলাকার ফিরোজ মোল্লার ছেলে কবির হোসেন মাওলানা (৪৮), আলী আহম্মেদ হাওলাদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার (৪২), সুরজাত আলী মোল্লার ছেলে জামাল মোল্লা (৫০) ও স্থানীয় ইউপি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রেহানা বেগম (৩৫)। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে সামন্তসার ইউনিয়ন পরিষদে ৬০০ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মধ্যে ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফ’র ১০ কেজি চাল বিতরণ হচ্ছিল। এরমধ্যে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তারেক আজিজ মোবারক ঢালীর পক্ষের লোকজন উপজেলা বিএনপির সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক কবির মাওলানা, সামন্তসার ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বাবুল মাষ্টার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব মাদবর দুস্থ ও অসহায় জন্য ২০০ ভিজিএফ স্লিপ পান। সেই স্লিপের চাল দিতে বাধা দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন নান্টু খান। এ নিয়ে দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে নান্টু খান লোকজন নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণে চারজন আহত হন।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন নান্টু খান বলেন, মোবারক ঢালী গোসাইরহাটে ইউনিয়নের লোক। তিনি ও তার লোকজন সামন্তসার ইউনিয়নে এসে কর্তৃত্ব দেখাতে চান। আমার সঙ্গে পরামর্শ না করে নান্টু খানের লোকজনকে ২০০ স্লিপ দেয়া হয়। এ বিষয় নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তারেক আজিজ মোবারক ঢালী বলেন, ইউপি নির্বাচনের পর থেকে নান্টু খানের সঙ্গে আমার লোকজনের দ্বন্দ্ব চলছে। আজ আবার নান্টু খান আমার লোকজনকে চাল দিতে বাঁধা দেয়। আবার আমার লোকজনের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আমাদের লোকজন আহত হয়।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদ আলম বলেন, ভিজিএফ চাল দেয়া নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।