প্রকাশ: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৯ পিএম আপডেট: ১৭.০৩.২০২৫ ১১:৫৯ পিএম (ভিজিট : ২০৫)

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকরা। ছবি: সময়ের আলো
গাজীপুর সদর উপজেলায় গাড়িচাপায় নারী শ্রমিক নিহতের ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকরা।
সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটলে শ্রমিকরা মহসড়ক অবরোধ করেন।
নিহত সাবিনা আক্তার (২৮) ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার খালসাইদ ফুনা গ্রামের রাব্বির স্ত্রী। তিনি গোল্ডেন রিপিট কারখানার শ্রমিক।
দুর্ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিক ও স্থানীয়রা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে ভাঙচুর করেন। এ সময় আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে ধাওয়া দিয়ে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেন। পরে শ্রমিকরা পুলিশ ও গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইফতারের পর কারখানার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সাবিনা আক্তার। ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা প্রথমে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়।
শ্রমিক নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিক ও স্থানীয়রা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিক ও জনতা কারখানায় ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ সময় শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে মহাসড়কের গাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়। এতে অনেক যাত্রী আহত হন। পরে সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে ধাওয়া দিয়ে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, শ্রমিক নিয়ন্ত্রণের সময় বহিরাগতরা সুযোগ নিয়ে কারখানায় ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পুলিশ বাধা দিলে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয় এবং ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই যান চলাচল শুরু হয়।