প্রকাশ: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম (ভিজিট : ২৯৪)

প্রতীকী ছবি
বাঁশখালীতে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে জেসমিন আক্তার (২৮) নামে তিন সন্তানের এক জননী আত্মহত্যা করেছেন।
আজ সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপুর নতুন পাড়া নিজ বসতঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি একই এলাকার ফজল কাদেরের স্ত্রী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করলেও সম্প্রতি ফজল কাদের তার প্রথম স্ত্রীকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। এতে তার প্রথম সংসারের স্ত্রী সন্তানের কোন খোঁজখবর ও ভরণ পোষণ দিতেন না। ভরণ পোষণ দেওয়ার পরিবর্তে উল্টো স্ত্রীকে মারধরসহ বিভিন্ন ভাবে শারীরিক নির্যাতন করতো স্বামী ফজল কাদের। এমনকি এক মাস আগেও এভাবে বাসায় এসে ফজল কাদের স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে স্ত্রীর হাত-মুখে রক্তাক্ত করেছিল বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। যার ধারাবাহিকতায় গতকাল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়।
আজ সকালে জেসমিন আক্তার তার বড় ছেলে ওসমান গণীকে প্রতিদিনের ন্যায় পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসায় পাঠায়। দুপুর ১২ টার দিকে মাদ্রাসা ছুটি শেষে বাড়িতে এসে ঘরের ভেতরে তার ছোট ভাই মো. আলমের কান্নাকাটির শব্দ শুনে মাকে ডাকাডাকি করে মায়ের সাড়াশব্দ না পাওয়াতে দরজায় গিয়ে ধাক্কা দিলে ভেতর দিকে আটকানো অবস্থায় দেখতে পায়।
পরে জানালার দিকে গেলে তার মা জেসমিন আক্তারকে ঘরের চালার বর্গার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করলে বাড়ির আশপাশের লোকজন জড়ো হয়।
পরে পুলিশকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ও রামদাস মুন্সি হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তপন কুমার বাগচীসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে বিকেল তিনটার দিকে লাশ উদ্ধার করে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।