
ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস (ইউএনওপিএস)। ফাইল ছবি
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস (ইউএনওপিএস) একটি সহযোগিতা চুক্তি সই করেছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) আইইডিসিআর-এ ‘জলবায়ু-অবহিত রোগ নজরদারি এবং প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের এ সহযোগিতা চুক্তিটি সই হয়। যা ‘গ্লোবাল ফান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ ফান্ড ফর বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়িত হবে। এই কর্মসূচিটির মেয়াদ এক বছর এবং এটা বাস্তবায়ন করতে খরচ হবে ১.৬ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ মুদ্রা।
আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন এবং ইউএনওপিএস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সুধীর মুরালিধরন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সোমবার চুক্তিতে সই করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত রোগসমূহের কার্যকর নজরদারি ও সতর্কতা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে, যা দেশের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বলেন, এই প্রকল্পটি আমাদের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা শক্তিশালীকরণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা বাংলাদেশের জনগণের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং আরও ভালো প্রস্তুতি নিশ্চিত করবে। আইইডিসিআর এবং ইউএনওপিএস-এর সহায়তায় এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতার প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবে।
ইউএনওপিএস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সুধীর মুরালিধরন বলেন, আমরা বাংলাদেশের সরকারকে টেকসই এবং স্থিতিশীল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে বাস্তবায়িত এই চুক্তি ইউএনওপিএস ও আইইডিসিআরের যৌথ উদ্যোগের প্রতিফলন, যা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়ন, রোগ নজরদারি এবং প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যকে এগিয়ে নেবে।
এই প্রকল্পের মূল বাস্তবায়ন অংশীদার হিসেবে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচি, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কৌশলগত দিক-নির্দেশনা প্রদান করবে, যাতে নির্ধারিত ফলাফলগুলি সফলভাবে অর্জিত হয় এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলির মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করা যায়। গ্লোবাল ফান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ ফান্ড জলবায়ু-সহনশীল স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো তৈরি, স্বাস্থ্যসেবায় জলবায়ু অভিযোজন কৌশলসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা এবং জলবায়ু-প্রভাবিত রোগগুলোর জন্য প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে মনোযোগ নিবদ্ধ করবে। এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের লাখো মানুষের উপকারে আসবে, বিশেষত জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য।
অনুষ্ঠানে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচি (এনএমইপি), সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (সিডিসি), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) এবং ইউএনওপিএস-এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।