
লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজে হুথিদের হামলার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন জাহাজে আবারও হামলা চালিয়েছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা।
স্থানীয় সময় আজ সোমবার (১৭ মার্চ) একটি মার্কিন জাহাজে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ নিয়ে দুটি মার্কিন জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুথিরা। খবর এএফপির।
হুথি সংগঠনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, লোহিত সাগরে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো হুথি যোদ্ধারা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান এবং এর যুদ্ধজাহাজে হামলা চালিয়েছে।
এর আগে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। এসব হামলার পর হুথি সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মার্কিন হামলার জবাবে ‘বড় ধরনের প্রতিশোধ’ নেবে তারা।
হুথি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আসবাহি গতকাল রোববার (১৬ মার্চ) নিশ্চিত করেছেন, গত শনিবারের হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু ও দুই নারী রয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯৮ জন।
হুথি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান এবং এর যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ১৮টি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো হুথিদের এই দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সারি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে ৪৭টির বেশি হামলা চালিয়েছে।
হুথি নেতা আবদুল মালিক আল-হুথি এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এই অঞ্চলে তাদের আধিপত্য চাপিয়ে দিতে চায়। আমরা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবো এবং তাদের যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করবো।
তিনি আরও জানান, ইসরায়েল যদি গাজার জন্য মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি না দেয়, তবে তারা ইসরায়েলি জাহাজগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করবে।
হুথিরা ২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা শুরু করেছিল। তারা রোববার জানিয়েছে, আমাদের সামুদ্রিক অভিযান চলবে, যতক্ষণ না গাজার অবরোধ প্রত্যাহার করা হয় এবং সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ বলেছেন, হুথিদের হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ‘নিরবচ্ছিন্ন হামলা’ চালিয়ে যাবে। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এই অভিযান ইরানের প্রতি স্পষ্ট বার্তা যে, তারা যেন হুথিদের সমর্থন বন্ধ করে।