প্রকাশ: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৩:৩১ পিএম (ভিজিট : ১৮০)

ছবি: সময়ের আলো
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, অফিস ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে গলাচিপা পৌর শহরের জৈনপুরী খানকা ময়দানের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, ইউএনও মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তারা দাবি করেন, ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও ঘুষ লেনদেনসহ সরকারি তহবিলের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে তিনি জড়িত। এছাড়া ইউএনও মিজানুর রহমান স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছেন এবং নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার সুযোগ করে দিচ্ছেন।
বিক্ষোভকারীরা দ্রুত ইউএনও মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন ও ব্যানার প্রদর্শন করেন। তারা ঘোষণা দেন, দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শাহ জুবায়ের আবদুল্লাহ, তারিকুল ইসলাম মুন্না, মো. হানিফ ডাক্তার প্রমুখ। এদিকে রোববার বিকেলে ইউএনও গলাচিপা পেইজে, "আমার বিরুদ্ধে বড় একটা অভিযোগ হলো আমি ছাত্রলীগ করতাম। হ্যাঁ একসময় করতাম। সো, কি হয়েছে? নুরু ভাইও এক সময় ছাত্রলীগ করত। তিনি একসময় জননেত্রীর পা ছুঁয়ে সালামও করেছেন। সো, তাতে কি নুরু ভাইয়ের জনপ্রিয়তা এখন কম?
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কারণে আমরা মোটেই লজ্জিত নই, কারণ এই দেশমাতৃকার জন্ম তা হাত ধরেই। আরেকটা অভিযোগে হলো দুর্নীতির। Who is free from it? যে দুর্নীতি করে না বুঝতে হবে সে সুযোগ পায় না।
মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই। করলাম না এই প্রশাসনের চাকরী। আমার অনুজ উর্মীও করে নাই। সো, আমার কেন করতে হবে?
সোজাসাপটা কথা। একদিন আমাদেরও সময় আসবে। Every dog has its barking day." লেখাটি পোষ্ট করা হলে আরো উত্তেজিত হয় ছাত্র জনতা। তবে সন্ধ্যার পরে অফিসিয়াল ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে বলে বিবৃতি দেয়ার পাশাপাশি গলাচিপা থানায় সাধারণ ডায়েরি ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউএনও মিজানুর রহমান।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীরা ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে। পরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই আন্দোলনে যুক্ত হন। এ নিয়ে পর্যায়ক্রমে আন্দোলনের ষষ্ঠ দিন পার হলো।