প্রকাশ: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ৩:৪৪ পিএম আপডেট: ১৬.০৩.২০২৫ ৩:৫৫ পিএম (ভিজিট : ২৩৮)

প্রতীকী ছবি
প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মুকিম মুসলিম নারী-পুরুষের ওপর রোজা রাখা ফরজ। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগেরকার লোকদের প্রতি ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমাদের মধ্যে তাকওয়া বা আল্লাহভীতি সৃষ্টি হয়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩)
শরিয়ত সমর্থিত কারণ ছাড়া রোজা ভাঙা যাবে না। অসুস্থতা, বার্ধক্য, গর্ভধারণ, ভ্রমণ ও অনিবার্য কোনো কারণে রোজা ভাঙা যাবে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘(রোজা) নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনের জন্য, অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে পীড়িত কিংবা মুসাফির সে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করে নেবে এবং শক্তিহীনদের ওপর কর্তব্য হচ্ছে ফিদিয়া প্রদান করা, এটা একজন মিসকিনকে খাবার দেওয়া এবং যে ব্যক্তি নিজের খুশিতে সৎ কাজ করতে ইচ্ছুক, তার পক্ষে তা আরও উত্তম আর সে অবস্থায় রোজা পালন করাই তোমাদের পক্ষে উত্তম, যদি তোমরা বুঝ।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ৮৪)
এমন অনেকে আছেন, যারা খুব ঠুনকো অজুহাতে রোজা ভেঙে ফেলতে চান। এর মধ্যে পরীক্ষার্থী পড়ার চাপের কারণে রোজা ভাঙতে পারবে কিনা, এ ব্যাপারে একজন জানতে চেয়েছেন। শাইখ বিন বাজ (রহ.) বলেন, পরীক্ষার কারণে রমজানের রোজা ভাঙা যাবে না। কারণ এটি শরিয়ত অনুমোদিত প্রয়োজন নয়। বরং রোজা পালন করা ওয়াজিব। দিনের বেলায় পড়াশোনা করা কষ্টকর হলে রাতের বেলায় পড়াশোনা করবে। পরীক্ষা-নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের উচিত, ছাত্রদের প্রতি সহমর্মী হওয়া এবং রমজান মাসের পরিবর্তে অন্য সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা। (ফাতাওয়া আশ-শাইখ ইবনে বাজ, ৪/২২৩)
সৌদি আরবের ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির মত হলো, পরীক্ষার কারণে রোজা ভাঙার অনুমোদন নেই। বরং পরীক্ষার জন্য রোজা ভাঙা হারাম। কারণ রমজানে রোজা না- রাখার বৈধ প্রয়োজনের মধ্যে এটি পড়ে না। (ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়া সমগ্র, ১০/২৪০)
কেউ যদি না জেনে পরীক্ষার কারণে রোজা ভেঙে ফেলে, তা হলে পরবর্তীতে রোজার কাজা আদায় করতে হবে। জেনে এমন করলে কাজা ও কাফফারা দুটিই ওয়াজিব হবে।