
আইএসের পতাকা হাতে একজন সদস্য। ছবি: সংগৃহীত
ইরাকি গোয়েন্দা সংস্থা ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনীর অভিযানে ইরাক ও সিরিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেট (আইএস) প্রধান নিহত হয়েছেন ৷
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে রোববার (১৬ মার্চ) খবর প্রকাশ করেছে জার্মান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি শুক্রবার জানিয়েছেন, ইরাকি গোয়েন্দা সংস্থা এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনীর অভিযানে ইরাক ও সিরিয়ায় তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট (আইএস)’-এর নেতা নিহত হয়েছেন৷
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স প্ল্যাটফর্মে তিনি লিখেছেন, ‘অন্ধকার ও সন্ত্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে ইরাকিরা তাদের চমকপ্রদ বিজয় অব্যাহত রেখেছে৷’
এতে তিনি আরও লিখেছেন,‘ইরাকি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বীরেরা আন্তর্জাতিক যৌথবাহিনীর সহায়তা ও সমন্বয়ের পরিচালিত অভিযানে সন্ত্রাসী আবদুল্লাহ মাকি মুসলেহ আল-রিফাই [ডাকনাম আবু খাদিজা]-কে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছেন৷’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া একটি পোস্টেও আবু খাদিজার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷
অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আমাদের সাহসী যোদ্ধারা তাকে নিরলসভাবে তাড়া করছিল৷ ইরাকি সরকার এবং কুর্দি আঞ্চলিক সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে আইএস-এর আরেক সদস্যসহ তার দুর্বিষহ জীবনের ইতি টানা হয়েছে৷’
ডনাল্ড ট্রাম্প আরও লিখেছেন, ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি!’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা ইরাকি প্রধানমন্ত্রী দুই জনই এই ইস্যুতে সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিলেও সেখানে অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য ছিল না৷
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, পশ্চিম ইরাকের আনবার প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়ে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছিল৷ সংবাদ সংস্থাটি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়েছে৷
অপর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে অভিযানটি চালানো হয়েছিল৷ তবে শুক্রবার জঙ্গি নেতার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে৷
ডিসেম্বরে আসাদ শাসনের পতনের পর সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ হাসান আল-শিবানি প্রথমবারের মতো ইরাক সফর করছেন৷ সফরকালে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন৷ ‘ইসলামিক স্টেট’ যা আইসিস নামেও পরিচিতি, তাদের মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন৷
এক সংবাদ সম্মেলনে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেন বলেন, ‘কর্মকর্তারা সিরিয়া-ইরাকি সীমান্তে, সিরিয়ার অভ্যন্তরে বা ইরাকের অভ্যন্তরে আইসিসের গতিবিধি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন৷’
তিনি আইসিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সিরিয়া, ইরাক, তুরস্ক, জর্ডান এবং লেবানন নিয়ে গঠিত একটি অপারেশন রুমের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে এটি শিগগিরই কাজ শুরু করবে৷