প্রকাশ: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ৭:৪৭ পিএম (ভিজিট : ১৫৬)

দক্ষিণ আফ্রিকার বহিষ্কৃত রাষ্ট্রদূত ইব্রাহীম রাসুল। ছবি: সংগৃহীত
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করার অভিযোগে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
মার্কো রুবিও বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ইব্রাহীম রাসুল অন্যায্যভাবে বর্ণবাদকে ব্যবহারকারী একজন রাজনীতিক। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘৃণা করেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় আসার পরপরই দক্ষিণ আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তায় কাটছাঁট করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দক্ষিণ আফ্রিকার ভূমি নীতি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা করায় তিনি দেশটির প্রতি ক্ষুব্ধ। যে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত আমাদের মহান দেশে আর বাঞ্ছিত ব্যক্তি নন। তার (রাষ্ট্রদূত) সঙ্গে আমাদের আলোচনার কিছু নেই। সুতরাং তিনি যুক্তরাষ্ট্রে (পারসোনা নন গ্রাটা) অবাঞ্ছিত ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন।
রুবিও ডানপন্থী ওয়েবসাইট ব্রেইটবার্টে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ পোস্ট করেছেন। নিবন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শেতাঙ্গ ‘আধিপত্যবাদী’ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম রাসুল।
আজ শনিবার (১৫ মার্চ) দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় রাসুলের বহিষ্কারকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করে বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক কল্যাণজনক সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিভাগের মুখপাত্র ক্রিস্পিন ফিরি এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে সরকার কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা ও রিপাবলিকান প্রধান নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করার সুযোগ পাননি বলে চলতি সপ্তাহে সংবাদমাধ্যম সেমফোরের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
রাসুলের ফিলিস্তিনপন্থি দৃষ্টিভঙ্গি এবং ইসরায়েলের প্রতি সমালোচনামূলক হওয়ায় পররাষ্ট্র দপ্তর ও রিপাবিলিকান নেতারা তাকে বৈঠক করার সুযোগ দেয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।