প্রকাশ: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ২:২০ পিএম আপডেট: ১৫.০৩.২০২৫ ২:২৫ পিএম (ভিজিট : ২৪৭)

প্রতীকী ছবি
চৈত্র মাস শুরু হয়েছে সবে। চৈত্রের যে গরম মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলে, এর আগমনী বার্তা প্রকৃতি জুড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে এখনই। অবশ্য সদ্য বিদায় নেওয়া ফাল্গুনের শেষ কদিনের গরম মানুষকে অস্বস্তি দিয়েছে। এই গরমে রোজা রেখে বেলা শেষে অনেকের শরীর একটু ‘নেতিয়ে’ পড়ে। বাইরে বের হলে ভেতরটা হাঁসফাঁস করে। রোজা অবস্থায় প্রচণ্ড গরম পড়লে রোজাদারের কী করা উচিত। রোজা ভাঙা যাবে? ফরজ রোজা তো আর ভেঙে ফেলা যায় না। তা হলে পুকুর বা নদীতে দাঁড়িয়ে থাকা যাবে? ঝরনা ছেড়ে বা বাথটবে বসে থাকা অথবা মাথায় কি পানি ঢালা যাবে? এসব করলে কি রোজা হাল্কা হয়ে যায়?
রমজানে অসহনীয় তাপমাত্রা দেখা দিলে দৈহিক প্রশান্তি ও স্বস্তি লাভের জন্য মাথায় বা শরীরে পানি ঢালা যাবে। অসহনীয় তাপমাত্রায় রাসুলুল্লাহ (সা.) মাথায় পানি ঢালতেন। আবু বকর বিন আবদুর রহমান রাসুল (সা.)-এর কয়েকজন সাহাবির উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, ‘অত্যধিক পিপাসা বা তাপমাত্রার ফলে রাসুল (সা.)-কে মাথায় পানি ঢালতে দেখেছেন।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৩৬৫)
রোজা অবস্থায় প্রচণ্ড গরম পড়লে কোনো কোনো সাহাবি কাপড় ভিজিয়ে শরীরে জড়িয়ে নিতেন। কেউ পানির মধ্যে ডুবে থাকতেন। ইবনে উমর (রা.) একটি কাপড় পানিতে ভিজিয়ে শরীরে জড়িয়ে নিলেন। তিনি ছিলেন রোজাদার। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমার একটি টব রয়েছে, রোজা রেখেই আমি তাতে প্রবেশ করি।’ (সহিহ বুখারি, ৩/৩০)
রোজাদার যদি অত্যধিক পরিশ্রম কিংবা প্রচণ্ড গরমে পিপাসায় কাতর হয়ে যায়। নিজেকে ধরে রাখা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে, তা হলে পানি পান করতে পারবে বা রোজা ভাঙতে পারবে। সেক্ষেত্রে পরে রোজার কাজা আদায় করতে হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে, ২/২৫২; তাবয়িনুল হাকায়েক, ২/১৮)