ই-পেপার শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
ই-পেপার

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫

রোজায় ব্লাড প্রেসার কমে গেলে করণীয়
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ২:৩৩ পিএম আপডেট: ১৪.০৩.২০২৫ ৩:০৪ পিএম  (ভিজিট : ৯৭)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রমজানে কম-বেশি সবার খাদ্য ব্যবস্থাপনা, ব্যায়াম, জীবনাচরণে পরিবর্তন আসে। কারণ হঠাৎ দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। মানবদেহে রক্তচাপের একটি স্বাভাবিক মাত্রা আছে। এর ওপর ভিত্তি করেই উচ্চ রক্তচাপ বা হাইব্লাড প্রেসার ও নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার পরিমাপ করা হয়। 

হৃদরোগে যারা আক্রান্ত তাদের হঠাৎ রোজায় রক্তচাপ কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে নিয়মমাফিক চললে এসব জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

কিন্তু প্রেসার কমে গেলে সেটিও বিপদের কারণ হতে পারে। যদি কারও সাধারণত রক্তচাপ সিস্টলিক ১০০ এবং ডায়াস্টোলিক ৬০ এর নিচে থাকে, তবে এ অবস্থাকে নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার বলা হয়ে থাকে। তবে ব্যক্তি ও বয়স ভেদে এ পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। প্রেসার কমে গেলে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে পারেন।


যারা উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগে ভুগছেন তারাও পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখতে চান এবং সাধারণত জানতে চান রোজা রাখতে পারবেন কি না, ওষুধগুলো কীভাবে খাবেন, খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক পরিশ্রম কেমন হবে। 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করণীয়:

১. হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের ওষুধগুলো দিনে একবার, দু’বার বা তিনবার খেতে হয়। রোজার সময় চেষ্টা করতে হবে যেসব ওষুধ দিনে একবার বা দু’বার খাওয়া যায় সেগুলো দিয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দিনে দু’বার খাওয়া ওষুধগুলো ইফতার এবং সেহরির সময় খাবেন। দিনে একবার খাওয়া ওষুধগুলো রাতের যে কোনো সময় খেতে পারেন। 

২. ডাইউরেটিক বা শরীরের পানি কমার ওষুধ ইফতারের সময় খাবেন। এ ধরনের ওষুধের পরিমাণ কমাতেও হতে পারে। চর্বি জাতীয় খাবার এবং অতিরিক্ত লবণ দেওয়া খাবারগুলো পরিহার করবেন। একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প করে বারবার খাবেন। রাতের বেলা প্রয়োজনমতো পানি এবং তরল জাতীয় খাবার খাবেন। 


৩. শারীরিক ব্যায়াম দিনের বেলায় না করে রাতে করার চেষ্টা করুন। খাবার পরপরই ব্যায়াম করবেন না। এ মাসের জন্য ত্রিশ মিনিট হাঁটাই ভালো ব্যায়াম।

৪. রোজার সময়ে দিনের বেলা রক্তচাপ বেশি কমে যেতে পারে এবং শরীরে লবণের পরিমাণ কমে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে অবশ্যই পানি বা তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

৫. ওষুধ বা ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করতে হতে পারে। রোজার সময় কোনোরকম জটিলতা দেখা দিলে, যেমন-শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা বা অজ্ঞান হলে বা রক্তচাপ কমে গেলে, বিলম্ব না করে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করবেন। 

মনে রাখতে হবে সময়মতো চিকিৎসা না নিলে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যাবে। যেসব রোগীর পেসমেকার বা ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা আছে অথবা বাইপাস অপারেশন বা এনজিওপ্লাস্টি করা আছে তারাও রোজা রাখতে পারবেন। তবে বাইপাস অপারেশন বা এনজিওপ্লাস্টি করার পর প্রথম তিন মাস রোজা রাখা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ।


আরও সংবাদ   বিষয়:  রোজা   হৃদরোগ   ব্লাড প্রেসার   নিম্ন রক্তচাপ   করণীয়  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close