ই-পেপার শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
ই-পেপার

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫

আছিয়ার অন্তিমযাত্রা, শুরু থেকে শেষ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম আপডেট: ১৩.০৩.২০২৫ ১১:০৮ পিএম  (ভিজিট : ৬১০)
আছিয়ার অন্তিমযাত্রা। ছবি : সংগৃহীত

আছিয়ার অন্তিমযাত্রা। ছবি : সংগৃহীত

বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নির্মমভাবে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ৮ বছরের আছিয়া আজ চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। দেশজুড়ে এ ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ক্ষোভে-প্রতিবাদে মুখর গোটা দেশ। চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণকাণ্ডের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনাবহুল কয়েক দিনের বিবরণ তুলে ধরা হলো। 

বোনের বাড়ি থেকে হাসপাতালে
গত ৬ মার্চ বোনের শ্বশুরবাড়ি মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৫০)-এর লালসার শিকার হয় শিশুটি। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এরপর শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তারপর তাকে নেওয়া হয় সিএমএইচে।

মায়ের মামলা ও আসামিদের গ্রেফতার
ঘটনার তিনদিন পর (৮ মার্চ) সদর থানায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চার জনের নামে মামলা করেন। পরে চার আসামিকেই গ্রেফতার গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন—শিশুটির বোনের স্বামী সজীব হোসেন (১৮) ও বোনের শ্বশুর হিটু মিয়া (৪২), সজীব শেখের ভাই রাতুল শেখ (১৭) এবং তাদের মা জাবেদা বেগম (৪০)।

যেভাবে ধর্ষণের শিকার হলো আছিয়া
মামলার এজাহার অনুযায়ী—চার মাস আগে মাগুরা পৌর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে শিশুটির বড় বোনের বিয়ে হয়। ওই বাড়িতে বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুর থাকতেন। বিয়ের পর থেকে বড় মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তাঁর শ্বশুর। বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতেন। এ নিয়ে ঝগড়াও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ১ মার্চ বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় আট বছরের শিশুটি।

এজাহারে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, গত বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমায় শিশুটি। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন ঘুম থেকে জেগে দেখেন, ছোট বোন পাশে নেই, মেঝেতে পড়ে আছে। তখন শিশুটি বড় বোনকে জানায়, তার যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হচ্ছে। কিন্তু বড় বোন মনে করে, শিশুটি ঘুমের মধ্যে আবোলতাবোল বকছে। এরপর সকাল ছয়টার দিকে শিশুটি আবার বোনকে যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়ার কথা বলে। কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বোনকে জানায়, রাতে দুলাভাই (বোনের স্বামী) দরজা খুলে দিলে তাঁর বাবা (শ্বশুর) তার মুখ চেপে ধরে তাঁর কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সে চিৎকার করতে গেলে তার গলা চেপে ধরা হয়। পরে তাকে আবার বোনের কক্ষের মেঝেতে ফেলে রেখে যায়।

এজাহারে আরও বলা হয়, ঘটনা জানার পর শিশুটির বড় বোন তাঁর মাকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানাতে গেলে তাঁর স্বামী মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে তাঁকে মারধর করেন। এ কথা কাউকে বললে শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেন এবং তাদের দুই বোনকে আলাদা দুটি কক্ষে আটকে রাখেন। সকালে এক নারী প্রতিবেশী বাড়িতে এলে বোনের ভাশুর দরজা খুলে দেন। তখন শিশুটির মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করানোর চেষ্টা করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে বোনের শাশুড়ি অন্য প্রতিবেশীদের সহায়তায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে জিনে ধরেছে বলে চিকিৎসকদের জানান। তবে চিকিৎসক ও অন্যরা বিষয়টি টের পেলে শাশুড়ি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরে বাদী হাসপাতালে যান।

ওই দিন শিশুটির বড় বোন সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০ দিনের মতো আগে আমার সঙ্গে একটা ঘটনা ঘটে। সেদিন সন্ধ্যায় বাড়িতে কেউ ছিল না। আমি ঘরে আলো জ্বালিয়ে টয়লেটে যাই। টয়লেট থেকে ফিরে দেখি ঘরে আলো বন্ধ। হঠাৎ একজন আমার পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে। আমি উচ্চতা ও অন্যান্য বিষয় দেখে বুঝতে পারি, সে আমার শ্বশুর। বিষয়টি আমার স্বামীকে জানালে সে উল্টো আমাকে আজেবাজে কথা বলে। আমি আমার বাড়িতেও এ কথা জানাই। বাড়িতে গিয়ে আর শ্বশুরবাড়ি ফিরতে চাইনি। কিন্তু বাড়ি থেকে আমাকে বুঝিয়ে আবার পাঠানো হয়। আমার ভেতর সব সময় ভয় কাজ করত, যদি ওই ঘটনার চেয়ে খারাপ কিছু ঘটে। এ কারণে আমার সঙ্গে আমার ছোট বোনকে পাঠায়।’ তিনি আরও বলেন, তিনি এলাকার লোকজনের কাছে শুনেছেন, এর আগেও দুইটা মেয়ের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল তাঁর শ্বশুর।

বিচারের দাবিতে উত্তাল দেশ
ঘটনার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সর্বত্র মিছিলে-শ্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে। ৯ মার্চ মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। একই দিন মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো মাগুরা থেকে পুরো দেশে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, রাজনৈতিক দল, ছাত্র-সংগঠন ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক দল প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন। মশাল মিছিল, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে সবাই একাত্ম হয়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইনের দাবি জানান।

আদালতের আদেশ
৯ মার্চ মাগুরার ভুক্তভোগী শিশুটির ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, গণমাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিটিআরসি, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই দিন রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদেশে আদালত বলেন, ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলাটির (শিশুটি ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগে মামলা) তদন্ত শেষ করতে হবে। অভিযোগ আমলে নেওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে।

মায়ের আক্ষেপ
৮ মার্চ মাগুরার সেই শিশুটির মা বলেছিলেন, আগের দিন (মঙ্গলবার) তাঁর মেয়ে ফোনে কান্নাকাটি করে বোনের বাসা থেকে নিজের বাসায় চলে আসতে চেয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, আর দুইটা দিন থাকতে। তারপর নিয়ে আসবেন। এখন তাঁর একটাই আপসোস। বললেন, ‘ইশ্‌! ক্যান যে পাঠাইছিলাম!’

গণমাধ্যমকে শিশুটির মা বলেন, ‘মেয়ের কষ্ট আর সহ্য করতে পারছি না। আপনাকে ছবি তুইলা দেখাতে পারলে বুঝতে পারতেন কী কষ্ট পাচ্ছে! আল্লাহর কাছে মেয়ের দাবি ছাইড়া দিছি।’

সেদিন শিশুটির মা আরও বলেন, তাঁর স্বামী কৃষক ছিলেন। ৯ মাস আগে গ্রামে একটা মারধরের ঘটনায় স্বামীর মাথায় লাঠির আঘাত লাগে। এর পর থেকে তিনি গুরুতর অসুস্থ। মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে।

শিশুটির মা আরও বলেন, স্বামীর অসুস্থতা ও অনটনের কারণে বড় মেয়েকে গত নভেম্বর মাসে বিয়ে দেন। মেয়ের বয়স ১৪ বছর। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। এরপরের মেয়েটির বয়স ৯ বছর। সবচেয়ে ছোটটি ছেলে, বয়স আড়াই বছর। তিনি বলেন, ‘মেয়ে বোনের বাসায় যেতে চাইছিল না। জোর করে পাঠাইছিলাম। যদি না পাঠাইতাম তাহলে এই অবস্থা হতো না।’

বড় মেয়ে তাঁর শ্বশুরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আগেও করেছিলেন বলে জানান এই মা। তিনি বলেন, ঘটনার আগের দিন মেয়ে ওর বড় বোনের কাছে বলেছিল, বোনের শ্বশুর তাকে খারাপভাবে স্পর্শ করেছে। এটা নিয়ে মেয়ে তাঁর স্বামীকে বলে উল্টো মারধরের শিকার হন।

মা বলেন, শ্বশুর-জামাতা দুজনের চরিত্রই খারাপ। এটা আগে জানলে তিনি বিয়ে দিতেন না। হাসপাতালে এখন মেয়ের সঙ্গে তিনিই থাকছেন। মেয়ের সুস্থতার জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চান। ধর্ষকদের যেন সর্বোচ্চ সাজা হয়, সেটা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

বিদায় আছিয়া
ঘটনাবহুল ৮ দিনের উদ্বিগ্ন অপেক্ষা শেষে সবাইকে কাঁদিয়ে ছোট্ট মেয়েটি অবশেষে চলে গেল না-ফেরার দেশে। আজ ১৩ মার্চ ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন আছিয়া মারা যায়। 

বাংলাদেশ আর্মির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। 

আরও বলা হয়েছে, শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।

প্রধান উপদেষ্টার শোক
আছিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের বিবৃতিতে এ শোক জানানো হয়। এ ছাড়া সরকারের ‍উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন শোক জানিয়েছে।

জানাজা ও দাফন
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশু আছিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয়েছে আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের নোমানী ময়দানে। শিশুটির বাড়ি জেলার শ্রীপুর উপজেলার একটি গ্রামে। সেখানে রাত ৮টা ২০ মিনিটে সম্পন্ন হয় দ্বিতীয় জানাজা।

জানাজায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম-হাসনাত আব্দুল্লাহ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হকসহ স্থানীয় ও জাতীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন। 

রাত সাড়ে ৮টার দিকে সোনাকুন্ডী সম্মিলিত ঈদগা ও গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে ইফতারের আগ মুহূর্তে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে তার লাশ মাগুরায় নেওয়া হয়।

মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিক্রিয়া
আছিয়ার জানাজা পড়েই আসামিদের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আবারও ক্ষোভে-প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে হাজারো মানুষ। সন্ধ্যায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় নিহত শিশু আছিয়ার নির্যাতনকারীদের বিচার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মশাল মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল করছে সাধারণ মানুষ।

বিচারের দাবি, বিচারের আশ্বাস
মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুর ধর্ষণ মামলার বিচার আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, বিশেষ ব্যবস্থায় আজকেই (বৃহস্পতিবার) ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়া যাবে। সাত দিনের মধ্যে বিচারকাজ শুরু হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বলেন, মাগুরার কয়েকটা নরপশুর নিষ্ঠুরতা তার মতো এক শিশুর ওপর দিয়ে গিয়েছিল। ক্ষতচিহ্ন নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় সংগ্রাম করে শিশুটি জগতের মায়া ছেড়ে আমাদের কতটা লজ্জা দিয়ে ও কাঁদিয়ে বিদায় নিয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

এ ঘটনায় করা মামলার তদন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার কথা জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এই বোনকে আমরা যেভাবে হারালাম। এর জন্য যারা দায়ী তাদের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক যে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, সেটাকে যে কোনোভাবে বেঁধে দেওয়া ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করা। বাংলাদেশে আজ থেকে ৫/১০ বছর আগে আমার বোন আছিয়ার মতো ধর্ষণের শিকার হয়েছিল, তাদের বিচারগুলো যদি হতো তাহলে আমাদের বোন আছিয়াকে এভাবে হারাতে হত না।’











https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close