প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৭:৫২ পিএম আপডেট: ১৩.০৩.২০২৫ ৮:০৯ পিএম (ভিজিট : ১০৪)

ড্রোন শটে কপ-৩০ এর রাস্তা তৈরির জন্য আমাজন বন উজাড়ের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্ট আমাজন। ব্রাজিলে অবস্থিত এই বনটি কার্বন শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যার কারণে এই বনকে পৃথিবীর ফুসফুস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর তাই আমাজনের বুকেই ভেবেচিন্তে এবার জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০ আয়োজন করতে যাচ্ছেন বিশ্বনেতারা।
এই বছরের নভেম্বরে উত্তর ব্রাজিলের বেলেম শহরে কপ-৩০ এর আয়োজন করা হবে। এই সম্মেলনে প্রায় অর্ধ্বলক্ষ প্রতিনিধি অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে যে জলবায়ু সম্মেলন করা হচ্ছে সে সম্মেলনস্থলে যাতায়াতের জন্য রাস্তা তৈরি করতে কাটা হচ্ছে হাজার হাজার গাছ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ জঙ্গল কেটে তৈরি হচ্ছে ৮ মাইল দীর্ঘ চার লেনের মহাসড়ক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাপের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মহাসড়ক নির্মাণকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা তৈরি হয়েছে। কারণ, বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো- পরিবেশ রক্ষা, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ। অথচ, এই অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য আমাজনের বিশাল অংশ ধ্বংস করা হয়েছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, এটি মূলত আয়োজক ও আয়োজক সরকারের ভণ্ডামিরই অংশ।
ব্রাজিলের আমাজন অঞ্চলে নতুন রাস্তা নির্মাণের ফলে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবিকা বিপর্যস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তা তাদের দৈনন্দিন জীবনে গভীর প্রভাব ফেলছে। কারণ, এটি কৃষিকাজ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা সৃষ্টি করবে।
এই মহাসড়কটি তৈরি করতে দশ হাজার একরের বেশি বন কাটা হয়েছে। যার একমাত্র উদ্দেশ্য সম্মেলনে যাতায়াতে যেন ভীড় না হয়। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এই সড়কের একটি অংশ একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাবে। ওই এলাকা প্রায় ৮০০ প্রজাতির উদ্ভিদ ও ছত্রাকের বাসস্থান, যা এখন হুমকির মুখে পড়েছে।