প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৩৯ পিএম (ভিজিট : ১৫৮)

প্রতীকী ছবি
দোল পূর্ণিমায় উৎসবের জন্য প্রস্তুত হয়েছে শ্রীমঙ্গল- চা বাগান, বিভিন্ন পূজা পরিষদ ও এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) শুক্লপক্ষের দোল পূর্ণিমায় উদযাপিত হচ্ছে দোল উৎসব। হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্যের মধ্যে দোল উৎসব একটি বড় প্রীতিময় উৎসব।
বলা হয়, এটি অতীতের ত্রুটি শেষ করার এবং নিজেকে পরিত্রাণ দেয়ার, পারস্পরিক দেখা করে দ্বন্দ্ব শেষ করার, ভুলে যাওয়ার এবং ক্ষমা করার একটি দিন। সেইসাথে হোলি নতুন বন্ধু তৈরি করারও একটি উৎসব। তাই তরুণদের বেশ আগ্রহ দোল উৎসব নিয়ে।
গৌর পূর্ণিমার বানীতে শ্রীল জয়পতাকা স্বামী মহারাজ বলেছিলেন, শ্রীচৈতন্যদের এসেছিলেন যাতে সবাই কৃষ্ণপ্রেম পেতে পারে। যাতে সবাই কৃষ্ণের নাম জপ করে। এবং তিনি কেবল বাঙালিদের জন্য বা ভারতীয় জনগণের জন্য আবির্ভূত হননি, তিনি আবির্ভূত হয়েছেন সমগ্র মহাবিশ্বের মুক্তির জন্য।
পঞ্চম বছরের মতো শ্রীমঙ্গলে সবচেয়ে বড় আয়োজন করেছে ‘সবুজবাগ দোল পূজা উদযাপন পরিষদ’। উদযাপন পরিষদের সভাপতি ঝলক দাশ জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোল উৎসব চলবে। প্রায় চার-পাঁচ হাজার ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীর সমাগম হবে সবুজবাগে। তিনি বলেন, সিলেট বিভাগের মধ্যে সবুজবাগের উৎসবটি সবচেয়ে বড় দোল উৎসব। উৎসবে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার সাথে থাকছে আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, হোলি খেলা আর ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা। আয়োজনটি সুশৃঙ্খলভাবে করার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তরুণ উদ্যোক্তারা।
চা বাগান অধ্যুষিত শ্রীমঙ্গলের- প্রতিটি বাগানেই ছোট-বড় নানাভাবে পালিত হবে দোল পূজা। তারা এই দোলকে ‘ফাগুয়া’ নামেই ডাকে। চা বাগানে ফাগুয়া উৎসবে রং ছিটিয়ে উৎসব উদযাপন করেন চা-জনগোষ্ঠীর সদস্যরা। ফাল্গুন মাসে এই উৎসবটি হয় বলে একে ফাগুয়া উৎসব বলা হয়। চায়ের দেশে অনটন আছে কিন্তু উৎসবের দিনটি চা- শ্রমিকদের পরিবার আনন্দে কাটানোর চেষ্টা করে। তারা এই আনন্দ ভাগাভাগি করেন একে অন্যের সঙ্গে।
শ্রীমঙ্গলের ফুলছড়া চা বাগানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন চা বাগান থেকে আগত দলসমূহের আয়োজনে চা-জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসমূহ নিয়ে আয়োজিত ‘ফাগুয়া উৎসব’ এবছর অনিবার্য কারণে আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে এখন পর্যন্ত জানানো হয়েছে। তবে, রাজঘাট চা বাগানে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আয়োজন হচ্ছে ফাগুয়া উৎসব।