প্রকাশ: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫১ পিএম (ভিজিট : ১৪৬)

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বর্হিবিভাগ। ছবি: সংগৃহীত
মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বর্হিবিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পরেছেন সাধারণ রোগীরা।
বুধবার (১২মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বর্হিবিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়।
চিকিৎসা নিতে আসা রাবেয়া বেগম সময়ের আলোকে বলেন, আমার বাসা নরসিংদীতে। বেশ কিছুদিন যাবৎ শরীর ব্যাথায় ভুগছিলাম। আজকে সকালে নরসিংদী থেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ঢাকা মেডিকেল আসি। আর এসে বিপাকে পড়ি। টিকিট পাইলেও ডাক্তার দেখাতে পারেননি। ডাক্তার না দেখিয়েই চলে যেতে হচ্ছে। আগে থেকে জানলে আমরা তো আসতাম না।
হাজারীবাগ থেকে আশা শাফিন আলম জানান, বেশ কিছুদন ধরে ঠান্ডা জ্বরে ভুগছি। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসে দেখেন টিকিট কাউন্টারসহ চিকিৎসকদের কক্ষ বন্ধ। ডাক্তার না দেখিয়েই বাসায় চলে যেতে হচ্ছে তাকে। এরকম অনেকেই ফেরত যাচ্ছেন চিকিৎসা না পেয়ে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের বর্হিবিভাগের ওয়ার্ডমাস্টার জিল্লুর রহমান বলেন, সকাল থেকে বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সব বিভাগ খোলা ছিল। সাড়ে ১১টার পরে হঠাৎ করে চিকিৎসকরা এসে টিকিট কাউন্টারসহ সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকেই চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। অনেক রোগী ডাক্তার না দেখেই ফেরত যেতে হচ্ছে।
ডাক্তারদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
১/ ডাক্তার পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত রিট প্রত্যাহার করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা। যা ২০১০ সালে গত সরকার দিয়ে গেছে।
২/ উন্নত বিশ্বের মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ আপডেট করা। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা।
৩। স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত শূন্যপদে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠনপূর্বক ৬ষ্ঠ গ্রেডে চাকরি প্রবেশপথ তৈরি। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করে চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪-এ উন্নীত করা।
৪। বেকার তৈরির কারখানা সব ম্যাটস প্রতিষ্ঠান এবং মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা। তবে এরই মধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস শিক্ষার্থী এবং ডিএমএফ গণের প্যারামেডিকস হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়াও SACMO পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদবি ব্যবহার চালু। এটি ডাক্তার শব্দের সমার্থক হিসেবে জনগণকে ধাঁধায় ফেলে দেয়।
৫। চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা।