আজ হোম অফিস গোছানোর দিন

প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ৫:২৮ পিএম আপডেট: ১১.০৩.২০২৫ ৫:৩৬ পিএম (ভিজিট : ১০৭)

প্রতীকী ছবি

‘হোম অফিস’ বর্তমানে প্রায় সারা বিশ্বেই বেশ জনপ্রিয়। অফিসের কাজ আছে তবু নেই অফিসে যাওয়ার ঝক্কি। আজ যুক্তরাষ্ট্রে ‘অর্গানাইজ ইওর হোম অফিস ডে’, অর্থাৎ নিজের কাজের জায়গা ও পরিবেশকে সুশৃঙ্খল করার দিন এটি।

এক জরিপ বলছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তিন জনে একজন ‘হোম অফিস’ করেন। রিমোট জব করেন এমন মানুষের সংখ্যা, বিশেষ করে কোভিড মহামারির সময় (২০১৯-২১) তিন বছরে বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। তাই, যাদের বাড়িতেই অফিস তাদের কর্মস্থলকে আরও বেশি পেশাদার ও গোছাতে উৎসাহ দিতেই বিশেষ এই দিবস।

আরও পড়ুন: শিশুদের মারধর করলে ব্যক্তিত্বে যে প্রভাব পড়ে

কাজের পরিবেশটা দৃষ্টিনন্দন হলে কাজের মান ভালো হয়, মনোযোগ থাকে। তাই যে ঘরে বসে ‘হোম অফিস’ করা হয় সেই ঘরটি যতটুকু সম্ভব গুছিয়ে রাখা উচিত। পছন্দের কিছু ছবি, পেইন্টিং দেয়ালে টাঙানো যেতে পারে। ইনডোর প্লান্ট বা শো পিসও ঘরের সৌন্দর্যে যোগ করতে পারে বাড়তি মাত্রা।

কাজের টেবিলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, নোট বই, পেনসিল সব গুছিয়ে রাখার পাশাপাশি যে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করা হয় সেটিও গুছিয়ে রাখলে কাজে শৃঙ্খলা থাকে। যেমন- প্রয়োজনে কাজের ক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যবহার করতে হয় এমন ওয়েবসাইটগুলো বুকমার্ক করে রাখা যেতে পারে।

প্রয়োজনীয় টুলগুলো কম্পিউটারের স্টার্ট মেন্যু বা টাস্কবারে পিন করে রাখা যেতে পারে। ডকুমেন্টের ধরন অনুযায়ী আলাদা ফোল্ডারে রাখা যেতে পারে।

আরও পড়ুন: সূর্যের আলো যেভাবে দীর্ঘজীবন দেয়

হোম অফিসের ধারণা নতুন করে জনপ্রিয় হলেও এই দিবসটি ১৯৯২ সাল থেকেই প্রচলিত। প্রতি বছর মার্চের চতুর্থ মঙ্গলবার উদ্‌যাপন করা হয় ‘অফিস গোছানো দিবস’ হিসেবে। পরবর্তীতে দিবসটি মার্চের দ্বিতীয় মঙ্গলবারে নিয়ে যাওয়া হয়।

লিসা কারনেক নামের এক মার্কিন নাগরিক এটিকে ‘অর্গানাইজ ইওর হোম অফিস’ নামে প্রবর্তন করেন। হোম অফিস লাইফ নামের একটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করেন তিনি। পরে হোম অফিস সুশৃঙ্খল রাখার ওপর একটি বইও লিখেছেন এই নারী।

‘ন্যাশনাল অর্গানাইজ ইওর হোম অফিস ডে’ উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে হোম অফিসের শৃঙ্খলা রক্ষায় আবর্জনা পরিষ্কার এবং অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র শ্রেড করতে উৎসাহিত করা হয়।