প্রকাশ: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১০:৪২ পিএম (ভিজিট : ১০৬)

প্রতীকী ছবি
সাধারণত তেলে কিছু ভাজার পর আমরা সেই তেল ফেলে দেই৷ এবার ফেলে দেওয়া এই তেল বিমান চালাতে ব্যবহার করা যায় কিনা তা নিয়ে চলছে গবেষণা৷ স্পেনে চলমান এই গবেষণায় সহায়তা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)৷
স্পেনের বিমানসংস্থা আইবেরিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের ১০ শতাংশ ফ্লাইট এই তেল দিয়ে চালাতে চায়৷ এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে।
এয়ারলাইন সাস্টেইনেবিলিটির পরিচালক টেরেসা পারেখো বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে; টেকসই জ্বালানি শিল্পখাত গড়ে তোলার বিপুল সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে স্পেনে৷
পারেখো আরও বলেন, বিমান চলাচল খাত পরিবেশবান্ধব করা আমাদের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ, আমাদের দেশের দিকে তাকালে দেখা যায়, আমরা ইউরোপের এক প্রান্তে অবস্থিত৷ আর আমাদের অনেক দ্বীপ আছে যেগুলোকে মূল দেশের সঙ্গে যুক্ত রাখা প্রয়োজন৷
ভাজাপোড়ার তেল থেকে টেকসই কেরোসিন তৈরিতে এখন তিন গুণ বেশি খরচ হচ্ছে৷ তবে সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে বলে মত দিয়েছেন তিনি৷
ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, স্পেনের আন্দালুসিয়ায় আরেকটি নতুন রিফাইনারি তৈরি হচ্ছে৷ সেখানে বর্জ্যকে আরও জ্বালানিতে পরিণত করা হবে৷ ইউরোপে এই ধরনের এটিই হবে সবচেয়ে বড় রিফাইনারি৷
এই খাত এগিয়ে যাওয়ার পেছনে ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও ভূমিকা আছে৷ তারা মনে করে বিমানে অবশ্যই দুই শতাংশ টেকসই জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে৷ ২০৩০ সালে সংখ্যাটি ছয় শতাংশ ও ২০৫০ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ করতে চায় ইইউ৷
মাদ্রিদের এই গবেষণাগারে রেপসল কোম্পানি বিমান খাতে অপরিশোধিত তেল ছাড়া আর কী ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে৷
জার্মান এয়ারোস্পেস সেন্টার ভাজাপোড়া তেলের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে কাজ করেছে৷ একটি গবেষণা বিমান ব্যবহার করে তারা বড়, বাণিজ্যিক বিমানের ধোঁয়া পর্যবেক্ষণ করেছে৷ প্রথমটিতে সাধারণ জ্বালানি ব্যবহৃত হয়েছে৷ পরেরটিতে পুরোপুরি নতুন বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছে, যা রান্নার তেল তথা ভোজ্যতেল থেকে তৈরি হয়েছে৷
জার্মান এয়ারোস্পেস সেন্টারের ক্রিস্টিয়ানে ফোইগ্ট বলেন, আমরা দেখতে পেয়েছি টেকসই জ্বালানি ব্যবহারের কারণে কম ধোঁয়া নির্গত হয়েছে৷ এর ফলে বরফের স্ফটিক কমে৷ এবং এটা উষ্ণতা কমায়৷