প্রকাশ: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৮:২৩ পিএম (ভিজিট : ১৫৩)

ছবি: সংগৃহীত
২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও আলেমদের তালিকা প্রকাশ করেছে সিএসএস ফাউন্ডেশন।
রোববার (৯ মার্চ) সংগঠনটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪২ জন শহীদের নাম, স্থায়ী ঠিকানা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেক শহীদের পরিবারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে এবং সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যথাযথ যাচাইয়ের পর তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
তালিকার গ্রহণযোগ্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে ১৪টি আবশ্যিক তথ্য ও ৫টি যাচাইকরণ নথির ভিত্তিতে যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার দীর্ঘায়ত হওয়ায় কিছু শহীদের নাম এখনও অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি, তবে গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান ও তালিকাকরণ কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন মিরাজ রহমান ও সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর, যারা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে তালিকা প্রণয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি কুষ্টিয়ার তরুণ গবেষক যুবাইর ইসহাক ও তার কয়েকজন সহকর্মী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সিএসএস ফাউন্ডেশন, যা ভবিষ্যতেও জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট গবেষণা ও নীতিনির্ধারণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে ‘সাধারণ আলেম সমাজ’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
সিএসএস ফাউন্ডেশন তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই তালিকা প্রকাশ করেছে।
গবেষণাকর্মের অন্যতম সমন্বয়ক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর জানান, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে আলেম-উলামাদের ওপর চালানো নির্মম হত্যাযজ্ঞের কোনো লিখিত ও প্রামাণ্য নথি সংরক্ষিত না থাকায় ইতিহাস বিকৃতির সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই তথ্যঘাটতি পূরণ ও ন্যায়বিচারের দাবিকে সুদৃঢ় করতে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পরপরই শহীদ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের তালিকা সংকলনের কাজ শুরু হয়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই তালিকা ভবিষ্যতে ইতিহাস সংরক্ষণ, গণহত্যার স্বীকৃতি নিশ্চিতকরণ এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।