প্রকাশ: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৭:৪৭ পিএম আপডেট: ১০.০৩.২০২৫ ৮:৩৪ পিএম (ভিজিট : ১৭২)

গ্রেফতার ইয়ারুল শেখ। ছবি: সংগৃহীত
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় পুলিশের ২ সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম ইয়ারুল শেখ (৪০)।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুর দিকে ইয়ারুলকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড় কালোয়া গ্রামের মৃত বদর উদ্দিন শেখের ছেলে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ বলেন, ইয়ারুল দুই পুলিশ সদস্য হত্যা মামলার প্রধান আসামি। তিনি বাড়িতে অবস্থান করছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া ইয়ারুলের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ আরও পাঁচটি মামলা রয়েছে। বর্তমানে মামলাটি নৌ পুলিশের তদন্তাধীন। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর ভোরে আসামি ধরতে গিয়ে কুমারখালীর বেড় কালোয়া এলাকার দুর্বৃত্তদের হামলায় নৌকা থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে পুলিশের দুই সদস্য নিখোঁজ হন। তারা হলেন কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন।
পরের দিন দুপুরে সদরুল আলমের লাশ ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এর আরও এক দিন পর সকালে পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ এলাকায় পদ্মা নদী থেকে মুকুল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে নাজিরগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ি।
এ ঘটনায় কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যার অভিযোগে কুমারখালী থানার এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। এজাহারে ইয়ারুল শেখসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
একই ঘটনায় অভিযানে পুলিশের সঙ্গে থাকা কয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছানোয়ার হোসেন সেলিম বাদী হয়ে ৩৭ জনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় আরেকটি মামলা করেন। দুটি মামলাতেই আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।