প্রকাশ: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৬:৪৮ পিএম আপডেট: ১০.০৩.২০২৫ ৭:১৯ পিএম (ভিজিট : ৩৭১)

ছবি: সংগৃহীত
উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলছে পুকুর খননের হিড়িক। এর মধ্যে দুই স্থানের পুকুর খননের অভিযোগ মিলেছে।
সেই দুই জায়গা হলো- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের বিলপটল ও শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের জাবড়ি-কাজীপাড়া এলাকা।
জমি নষ্ট করে পুকুর খনন বন্ধে ভুক্তভোগী কৃষকরা সবসময় সোচ্চার থেকেছেন। জমি রক্ষায় তারা দফায় দফায় উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে অভিযোগ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
ব্যতিক্রম দু’একটি ক্ষেত্রে লোক দেখানো অভিযান করে খননকারীদের জেল-জরিমানা করা হলেও দিনশেষে পুকুর খনন ঠেকানো সম্ভব হয়নি। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই নাকি চলছে পুকুর খনন।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে সেই মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অবৈধ ইটভাটাতে। সেই মাটি দিয়ে গ্রামের বিভিন্ন খানা খন্দ ও ডোবা ভরাট করা হচ্ছে।
পুকুর খননকারী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুনুর রশিদের ভাই লোকমান আলী বলেন, এখন পুকুর কাটছি। ইউএনও ও ডিসি স্যারের অনুমতি নিয়েই পুকুর কাটছি। আর সেই মাটি বিভিন্ন খানা-খন্দ ভরাট করার জন্য বিক্রি করছি।
জাবড়ি এলাকার পুকুর খননকারী সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নের রিপন আলী বলেন, ‘এক সপ্তাহ থেকে পুকুর কাটা শুরু করেছি। সবাইকে ম্যানেজ করেই পুকুর কাটছি। সেই পুকুর খননের মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। আর এসব পুকুর কাটা এবং মাটি কাটার সিন্ডিকেটের সদস্যরা হচ্ছে, সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের চকঝগড়ু গ্রামের মোসাররফ হোসেন, শফিকুল ইসলাম, নসিপুরের আব্দুল আওয়াল। এরা আওয়ালী লীগের দোসর হিসেবে এলাকায় পরিচিত হলেও পট পরিবর্তনের পর প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে পুকুর কাটা অব্যাহত রেখেছেন।’
যা বলছে প্রশাসন
এদিকে, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছমিনা খাতুন সময়ের আলোকে বলেন, বিলপটল এলাকায় মাটি কাটার বিষয়ে আমি খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
অপরদিকে, শিবগঞ্জ উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মো. তৌফিক আজিজ বলেন, সেখানে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। জায়গা সুনির্দিষ্ট হলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।