প্রকাশ: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৬:৫৫ পিএম আপডেট: ১০.০৩.২০২৫ ৭:৩২ পিএম (ভিজিট : ২০৫)

আদালতে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত
কথা বললে মামলা ও রিমান্ডের সংখ্যা বাড়তে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, কথা বলে কী লাভ?
সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত প্রাঙ্গণে এসব কথা বলেন তিনি।
এদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পলককে দুপুর ১২টার পর কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সেখান থেকে দুপুর পৌনে ২টার টার দিকে প্রিজনভ্যানে তাকে ঢাকার মহানহর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির করা হয়। প্রিজন ভ্যানে থাকা অবস্থায় লোহার জানালার কাছে গিয়ে হাতের ইশারায় হাসিমুখে সালাম দেন পলক।
এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, কথা বললে মামলা ও রিমান্ডের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কথা বলে কি লাভ? আমার জন্য দোয়া করবেন। কিছুক্ষণ পরে প্রিজন ভ্যানের মধ্যে এক পুলিশ সদস্য ওঠে পলককে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে দেন। এরপর তাকে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়।
হাজতখানায় নেওয়ার পথে পলক আবারও বলেন, কথা বললে মামলা ও রিমান্ডের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পেছনে হ্যান্ডকাপও দেওয়া হয়। কথা বলার অধিকার কি আমাদের আছে? এখন পর্যন্ত আমাকে ৭৮ মামলার আসামি করা হয়েছে।
পলকের আইনজীবী ফারজানা ইসলাম রাখি জানান, এদিন দুদকের মামলায় পলকের হাজিরার জন্য দিন ধার্য ছিল। এজন্য তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালত আনা হয়েছে।
পলক ডিভিশন পাচ্ছেন না অভিযোগ করে এই আইনজীবী বলেন, কাশিমপুর কারাগারের চার নম্বর সেলে তাকে হাই সিকিউরিটির মধ্যে রাখা হয়েছে। ডিভিশন দেওয়া হচ্ছে না। তার ফ্যামিলির সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্তও করতে দেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ কয়েদিদের মতো করে তাকে রাখা হচ্ছে। দেশের খবর জানার জন্য অখ্যাত চারটি পত্রিকা তাকে দেওয়া হয়। জাতীয় কোনো পত্রিকা দেওয়া হচ্ছে না।
এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।