ই-পেপার মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫
মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫
ই-পেপার

মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫

নারী নিপীড়ন, নারী উপদেষ্টারা কোথায়, প্রশ্ন ঢাবি অধ্যাপকের
প্রকাশ: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ২:৫৫ পিএম  (ভিজিট : ১০৬)

দেশব্যাপী চলমান নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনায় নারী উপদেষ্টাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক তাসনীম মাহবুব সিরাজ।

তিনি বলেছেন, নারী উপদেষ্টারা কোথায়? তারা কি আদৌ আছেন? দেশে কী ঘটছে, সে ব্যাপারে ওনারা কি সচেতন?
 
রোববার (৯ মার্চ) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে ‘নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ’ শীর্ষক এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 'বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক' এই সমাবেশের আয়োজন করে। 

সমাবেশে তাসনীম মাহবুব বলেন, নারী উপদেষ্টারা কোথায়? তারা তো স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করতে পারেন। নারী বিচারক, আইনজীবীরা এটা করতে পারেন। কিন্তু কজন করছেন। নারী উপদেষ্টারা কী আদৌ আছেন? দেশে কী ঘটছে, ওনারা কী সে ব্যাপারে সচেতন? ওনারা তো এগিয়ে আসতে পারেন, সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতে পারেন। কিন্তু সেরকম কোনো উদ্যোগ দেখছি না।
 
তিনি বলেন, অনেকে এখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাচ্ছেন। আমি চারমাস ধরে ওনার পদত্যাগ চাচ্ছি। পদত্যাগটা একটা সম্মানজনক প্রস্থানের উপায়। কিন্তু উনি সম্মানজনক কোনো কাজ করেননি; করছেনও না। আমি বারবার লিখছি, আমি ওনার পদচ্যুতি চাই। এ ছাড়াও আইন উপদেষ্টা; ওনার ব্যাপারে যত কম বলা যায়, ততই ভালো। ওনারা কী করছেন? আমরা একটা জবাবদিহিমূলক সরকার কেন পাচ্ছি না? প্রশ্ন তোলেন তিনি।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা যখন ঘটে, এটা এত নিষ্ঠুর যে আমরা কেবল ওই ঘটনার বিচার চাই। কিন্তু কেন এ ধরনের অপরাধ ঘটছে, তাতে আমরা নজর দেই না। এর কারণ হলো রাজনীতি, বৈষম্যমূলক অর্থনীতি ও নিপীড়নমূলক মনস্তত্ব। জুলাইয়ের পরে আমরা যে নতুন যে নতুন রাজনীতির সম্ভাবনা দেখছি, তা কিন্তু আসেনি। এটি ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর কাছে বেদখল হয়ে যাচ্ছে।
 
কবি ও লেখক ফেরদৌস আরা রুমি বলেন, আমাদের অনেক ভালো ভালো আইন আছে। কিন্তু তার কার্যকারিতা নেই। গবেষণায় এসেছে, একটি ধর্ষণের বিচার হতে ১৩ থেকে ১৫ বছর লেগে যায়। আবার যে ধর্ষণ করেছে, তার সাথে বিয়ে দেওয়ার প্রবণতাও আছে। আমরা জানি না আছিয়া বেঁচে থাকলে তার পরের জীবন কেমন হবে।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, পরিবার থেকে শুরু করে জনপরিসরে নারীদের উপর যে নিপীড়ন, তা হঠাৎ করা হয়েছে বলার সুযোগ নেই। সমাজ এই নির্যাতনকে নরমালাইজ করে। নির্যাতন হচ্ছে একধরনের ক্ষমতার বিস্তার। আমাদের গৃহভ্যন্তরে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন হয়। নির্যাতন করে চুপ করিয়ে রাখতে চাওয়া হয়। নারীদেরকেই প্রশ্ন করা হয়, তারা কেন পথে বের হলো। এটা নির্যাতনকারীদের সাহস দেয়।
 
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মার্জিয়া রহমান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান প্রমুখ। সমাবেশে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা।
  
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একইসাথে এই কর্মসূচি পালন করছেন।




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close