প্রকাশ: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ২:২৪ পিএম আপডেট: ০৯.০৩.২০২৫ ৪:০৬ পিএম (ভিজিট : ২২৫)

যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা করলে নিজ দেশসহ আরব রাষ্ট্রগুলোর পানি তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি।
শুক্রবার মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার এবং উপস্থাপক টাকার কার্লসনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন, যা মেহের নিউজ এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে।
দক্ষিণ ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কখনও হামলা হলে ইরান এবং কাতারের মধ্যে পানির অংশের কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে থানি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনার ফলে উচ্চ স্তরের পানি দূষণের হবে। তখন এই অঞ্চলে পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনবে।’
তার কথায়, ‘এটি মূলত সম্পূর্ণরূপে দূষিত হবে... তিন দিনের মধ্যে পুরো দেশে পানি শেষ হয়ে যাবে। এটি শুধুমাত্র কাতারের জন্য প্রযোজ্য নয়, এটি কুয়েতের জন্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং পারস্য উপসাগরীয় আমাদের সবার জন্য প্রযোজ্য।’
সাক্ষাত্কারে কাতারের প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন, ‘আমরা সিরিয়ায় ইরানের বিরুদ্ধে ১৪ বছর ধরে যুদ্ধ করেছি।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘উভয় দেশ নিজেদের মতপার্থক্য সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখেছে।’
শেখ মোহাম্মদ আল থানি আরও বলেছেন যে, ‘একজন মার্কিন কংগ্রেসম্যান তাকে তেহরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন যে এটি সম্ভব নয়। কারণ ব্যাখ্যা করতে তিনি মার্কিনীদের সামনে একটি মানচিত্র এঁকে দেখিয়ে দেন যে, কাতার ও ইরান কতটা কাছাকাছি অবস্থান করছে। ফলে এই দুই দেশের সম্পর্ক ছিন্ন করা সম্ভব নয়।’
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সরকার বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগ্রাসন চালালে তার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেন। আরাঘচি বলেছিলেন, ‘আমার অনুমান হল যে এই ক্ষেত্রে (ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পারমাণবিক স্থাপনার বিরুদ্ধে একটি সম্ভাব্য আক্রমণ), আমরা এই অঞ্চলে একটি বিস্তৃত যুদ্ধে প্রবেশ করব। এমন একটি বিপর্যয় যা এই অঞ্চল বা অঞ্চলের বাইরের কেউ চায় না।’