সম্প্রতি বেশ কিছু শিশু নিপীড়নের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যা দেশবাসীর মনে ক্ষত সৃষ্টি করেছে। শিশুদের নির্যাতনকে ঘিরে সমাজে নীরবতার যে কঠিন বৃত্ত, সেটা ভেঙে ফেলতে হবে।
কন্যাশিশু সুরক্ষায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক ধারণা বদলেছে। শিশুর সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি।
কন্যাশিশুদের সুরক্ষায় যা জানা অতি জরুরি * শিশুকে কারো কোলে বসতে দেবেন না। * শিশু যখন বলছে সে খেলতে যাচ্ছে, কী ধরনের খেলা সে খেলছে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। উঠতি বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে অ্যাবিউজিং প্রবণতা পাওয়া যাচ্ছে। * সন্তানের বয়স দুই বছরের বেশি হলে তার সামনে আর আপনি কাপড়চোপড় পাল্টাবেন না। * স্বাচ্ছন্দবোধ করছে না এমন কারো সঙ্গে কোথাও যেতে শিশুকে জোর করা যাবে না। সেই সঙ্গে লক্ষ্য রাখুন, শিশু বিশেষ কোনো প্রাপ্ত বয়স্কের ভক্ত হয়ে উঠেছে কিনা। * প্রাণচ্ছল কোনো শিশু হঠাৎ শান্ত হয়ে গেলে তার সঙ্গে কথা বলুন। তার মনের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন। * বয়ঃসন্ধি পেরোচ্ছে এমন বাচ্চাকে যৌনমূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষা দিন। এ কাজ না করলে সমাজ তাকে ভুল শিখিয়ে দেবে।
* কেউ কোনো ছবি, কার্টুন ইত্যাদি শিশুর জন্য আনলে আগে তা নিজে দেখুন।
* কোনো বই সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই শিশুকে দিন।
* নিশ্চিত হন যে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অপশন অ্যাক্টিভেট করে রেখেছেন কেবল নেটওয়ার্কে, বিশেষ করে সেসব নেটওয়ার্কে যেখানে আপনার শিশু প্রায়শই ভিজিট করে। * তিন বছর বয়স হয়েছে এমন সন্তানকে তাদের ব্যক্তিগত গোপন স্থানসমূহ কীভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হয় তা শেখান। সতর্ক করে দিন যেন সেসব এলাকা কেউ স্পর্শ করতে না পারে- নিষিদ্ধদের মধ্যে আপনিও আছেন। * কালো তালিকাভুক্ত করুন সেই সব বই, গান, মুভি, পরিবার বা ব্যক্তিকে- আপনি মনে করেন যে বা যা আপনার শিশুর মনের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে।
* শিশু যদি কারো সম্পর্কে অভিযোগ করে তবে দয়া করে বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকবেন না।