প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫, ৭:০৪ পিএম (ভিজিট : ২৩৪)

রোজা ইসলামের অন্যতম ফরজ ইবাদত। প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ এবং জ্ঞানসম্পন্ন মুসলমানের ওপর রোজা রাখা ফরজ। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া (আল্লাহভীতি) অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩)
শরিয়ত সমর্থিত প্রয়োজন ছাড়া ইচ্ছাকৃত রোজা ভঙ্গ করা যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যেকোনো অপরাগতা বা অসুস্থতা ছাড়া রমজানের একটি রোজা ছেড়ে দেবে, সে ওই রোজার পরিবর্তে আজীবন রোজা রাখলেও ওই এক রোজার ক্ষতিপূরণ হবে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৭২৩)
রোজা এমন এক আমল, যার প্রতিদান দেন আল্লাহ। বান্দার রোজাকে আল্লাহ নিজের বলে সম্বোধন করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রোজা আমারই জন্য। আমি নিজে এর প্রতিদান দেব। আমার বান্দা আমার জন্য পানাহার ছেড়ে দেয়, কামনা-বাসনা ছেড়ে দেয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৭৪৯২)
রোজার কিছু নির্দিষ্ট বিধি-বিধান রয়েছে, যেগুলো সঠিকভাবে পালন করতে হলে মাসয়ালা-মাসায়েল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা আবশ্যক। রোজা তখনই ভেঙে যায় যখন খাদ্য, পানীয় বা কোনো বস্তু শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে। কিন্তু শরীর থেকে কিছু বের হলে রোজা ভেঙে যায় না। দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো কারণে হাত-পা বা শরীরের কোনো অঙ্গ থেকে রক্ত বের হলে রোজা ভাঙবে না। মনে রাখতে হবে, রক্ত গড়িয়ে পড়লে অজু ভেঙে গেলেও রোজা ভাঙে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯৩৮, সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১০৬)