প্রকাশ: শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম (ভিজিট : ৪২৪)

রোজা ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘...সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস (রমজান) পাবে, সে যেন অবশ্যই রোজা রাখে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য সময় সে সমান সংখ্যা পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কসম! মুসলমানদের জন্য রমজানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমজান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনরা এ মাসে (সারা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গণিমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ৮৩৬৮)
প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম সুস্থ সজ্ঞান ও মুকিম নারী-পুরুষের ওপর রোজা রাখা ফরজ। যাদের ওপর রোজা ফরজ, তাদের তালিকা দেওয়া হলো এখানে—
মুসলমান: মুসলিম ব্যক্তির জন্য রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। (আদ-দুররুল মুখতার, ২/৩৮১)
প্রাপ্তবয়স্ক: নাবালগের ওপর রোজা ফরজ নয়। (আদ্দুররুল মুখতার, ২/৩৮১)।
সুস্থ ব্যক্তি: শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোজা রাখার বিধান নেই। তবে সাধারণ অসুখ-বিসুখ হলে রোজা রাখা থেকে বিরত থাকা ঠিক হবে না। (আদ্দুররুল মুখতার, ২/৪২১)
সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী: পাগলের ওপর রোজা ফরজ নয়। (আদ্দুররুল মুখতার : ২/৩৮১)
স্বাধীন: পরাধীন ব্যক্তির জন্য রোজা রাখার বাধ্যবাধকতা নেই। (আদ্দুররুল মুখতার, ২/৩৮১)
সজ্ঞান: যিনি রোজা রাখবেন তিনি নিজ জ্ঞানে বা স্বেচ্ছায় আল্লাহর হুকুম পালন করবেন। কারও জোরাজুরিতে নয়। (আদ্দুররুল মুখতার, ২/৩৮১)
স্থায়ী বাসিন্দা: মুসাফিরের ওপর রোজা ফরজের ব্যাপারে শিথিলতা রয়েছে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৯০৬৭)
পবিত্র: নারীদের হায়েজ বা নেফাস থেকে মুক্ত হতে হবে। (আদ্দুররুল মুখতার, ২/৩৮১)
সক্ষমতা: রোজা রাখার দ্বারা শারীরিক কোনো ক্ষতি হলে, রোজা রাখার প্রয়োজন নেই। (আদ্দুররুল মুখতার, ২/৩৮২)
প্রতিবন্ধকতা মুক্ত: রোজা পালনের প্রতিবন্ধকতাসমূহ থেকে মুক্ত হওয়া।