
ঢাকার আশুলিয়ার গোমাইল এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ১১ জন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন সোয়াইদ (৪) নামে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে ৪ জনের প্রাণ গেল।
শনিবার (১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোয়াইদ।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, সোয়াইদের শরীরের ২৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালিও পুড়ে গিয়েছিল। আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই মারা যায়। এঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে তিনজন ভর্তি আছে।
এরআগে, শারমিন , তার স্বামী সুমন রহমান ও ননদ শিউলী আক্তারের মৃত্যু হয়। আজ মারা গেল শারমিনের ছেলে সোয়াইদ।
এরআগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়া গোমাইল গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় তলায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলেন, সূর্য বেগম (৫০), তার ছেলে সোহেল (৩৮), সুমন রহমান (৩৫) ও মেয়ে শিউলী আক্তার (৩২)। আর সুমনের স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩২), ছেলে সোয়াইদ (৪) ও মেয়ে সুরাইয়া (৩ মাস)। শিউলীর স্বামী মনির হোসেন (৪০), দুই ছেলে ছামির মাহমুদ ছাকিন (১৫) ও মাহাদী (৭)। সুমনের ফুফু জহুরা বেগম (৭০)।
প্রতিবেশী মো. আবু ইসহাক জানান, দগ্ধরা সবাই একই পরিবারের। ওই বাসার দুইতলায় ভাড়া থাকেন সুমন-শারমিন দম্পতি। ঘটনার পর খবর পেয়ে দ্রুত ওই বাসায় গিয়ে তাদেরকে দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার ধারণা, সিলিন্ডার গ্যাসের চুলা আগে থেকেই চালু ছিল। তখন দুই রুমে গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছিলো। কেউ একজন রান্না করতে গিয়ে আগুন জ্বালাতেই বিস্ফোরণ ঘটে।
দগ্ধ সুমনের ফুফাতো ভাই মো. মাসুদ জানান, সুমনদের বাড়ি শরিয়তপুর জেলায়। গোমাইল এলাকায় ভাড়া থাকেন। বোন শিউলি থাকে নবাবগঞ্জ দিঘিরপাড় এলাকায়। ফুফু জোহরা বেগম থাকেন মুন্সিগঞ্জে। সোহেলও থাকে গোমাইল এলাকায়। সুমন গ্রাফিক্সে কাজ করেন। আর সোহেল একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। মনির সেনেটারী ব্যবসা করেন।
তিনি আরও বলেন, শবেবরাত উপলক্ষ্যে শুক্রবার সবাই সুমনদের বাসায় যান বেড়াতে। রাতে রুটি পিঠা বানানোর জন্য চুলা জ্বালাতেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।