প্রকাশ: শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫, ৩:২৩ পিএম (ভিজিট : ২৪০)

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ও প্রধান নির্বাহী ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশ অনুযায়ী বিদেশে যাবতীয় সহায়তা ও অনুদান স্থগিত রেখেছে ওয়াশিংটন; ফলে জাতিসংঘকেও বিভিন্ন খাতে বাজেট কাটছাঁট করতে হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে পারে।’
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের একটি ছবি পোস্ট করে ফিলিপ্পো ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের সরকারের জন্য একটি বিশাল কাজ ছিল। এখন আমরা যা আশঙ্কা করছি, তা যদি সত্যি হয়, দাতাদের সহায়তা প্রবাহ নাটকীয়ভাবে কমে যায়—তাহলে বাংলাদেশের সরকার, সহায়তা সংস্থা এবং রোহিঙ্গাদের ওপর অভূতপূর্ব চাপ সৃষ্টি হবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির হাজার হাজার মানুষ ক্ষুধা, রোগব্যাধী এবং নিরাপত্তাহীনতার শিকার হবে।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন ফিলিপ্পো গ্রান্ডি। তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরও পরিদর্শন করেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ত্যাগের আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালের আগস্টে জান্তা সরকার ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের ভেতর ঢুকে পড়ে।
পরবর্তীতে বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার তাদের জন্য কক্সবাজারের টেকনাফ জেলার কুতুপালংয়ে আশ্রয়শিবির করে দেয়। পরে জাতিসংঘ ও অন্যান্য দাতা সংস্থার পক্ষ থেকে তাদেরকে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া শুরু হয়। বর্তমানে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে ১৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করছে।