প্রকাশ: শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম (ভিজিট : ২৪১)

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে বাংলাদেশে। তবে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে একদিন আগেই অর্থাৎ ১ মার্চ থেকে রোজা শুরু হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রথম তারাবির নামাজ আদায় ও সাহরি খেয়ে পবিত্র মাহে রমজানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার এই চার গ্রামের বাসিন্দারা।
এসব গ্রামে প্রায় শত বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন হচ্ছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে প্রথম তারাবি ও সাহরি খাওয়ার মধ্যদিয়ে শনিবার (১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা রেখেছেন তারা।
গ্রামগুলো হলো- নোয়াখালী সদর উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিণারায়নপুর গ্রাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড় পীর আবু মুহম্মদ মহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানী (র.) এর মতাদর্শে তৈরি হয় কাদেরিয়া তরিকা। কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হরিণারায়নপুর, বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছর একদিন আগেই রমজান, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে থাকে।
কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আবদুল আজিম বলেন, আমার বাড়িতে দরবার শরীফ রয়েছে। প্রতি বছর আমরা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা শুরু করি। এছাড়াও ঈদ একদিন আগেই পালন করি। হোক সেটা ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আজহা। আমরা সবাই আনন্দ করি এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করি ।
হাসেম নামে আরেকজন বলেন, ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রোজ রাখি। আমরা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করি। আমরা পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। তারাবির নামাজ আদায় করেছি। ভোররাতে সাহরি খেয়ে রোজা শুরু করেছি।
রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরীফে ঈদুল ফিতরের জামায়াতের ইমামতি করেন রহিমিয়া রশিদিয়া আল কাদেরিয়া দরবার শরীফ চট্রগ্রামের খাদেম আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদ উদযাপন করি। রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফে এটা উদযাপনের ইতিহাস প্রায় ১০০ বছরের বেশি হবে।