প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৫০ পিএম (ভিজিট : ১৩০)

দায়িত্ব পালনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গাফিলতি পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের শাহাদতবার্ষিকী ও 'জাতীয় শহিদ সেনা দিবস' উপলক্ষ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে একথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যার পর থেকে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানে আমাদের কোনো কর্মচারী বা বাহিনীর কেউ যদি গাফিলতি করে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তা সে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার বা কারা অধিদপ্তরের হোক, যারা ঠিকমতো কাজ করবে না তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শহিদ পরিবারগুলোর দুটি মূল দাবি ছিল। একটি বিচারের দাবি আরেকটি শহিদ সেনা দিবস ঘোষণা করা। সরকার ইতোমধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে 'জাতীয় শহিদ সেনা দিবস' ঘোষণা করেছে এবং এবারই প্রথমবারের মতো 'জাতীয় শহিদ সেনা দিবস' পালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহে জড়িত দেশি- বিদেশি ষড়যন্ত্র ও প্রকৃত ঘটনার উদঘাটন এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে জাতীয় স্বাধীন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। উপদেষ্টা এ সময় বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শহিদ সেনা সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এর আগে ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক এবং শহিদ পরিবারের স্বজনরা।