প্রকাশ: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৬ এএম (ভিজিট : ১০০)

সত্তর হাজার টাকা জরিমানা করার পরও প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে রাতের আঁধারে চলছে পুকুর খনন ও তিন ফসলি জমি ভরাটের মহোৎসব। রোববার সকালে সামান্য বৃষ্টির কারণে আদমদীঘি-আবাদপুকুর আঞ্চলিক সড়কে ট্রাক্টর থেকে রাস্তায় মাটি পড়ে কাদায় একাকার হয়েছে। শুধু এই আঞ্চলিক সড়ক নয়, উপজেলার বিভিন্ন সড়কের চিত্র প্রায় একই। এসব সড়ক দিয়ে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পায়ে হেঁটে যাতায়াতকারীরাও পোহাচ্ছেন চরম ভোগান্তি। আদমদীঘি-আবাদপুকুর সড়কের পাঁল্লা গ্রামের ইটের সলিং করা এক কিলোমিটার সড়ক থেকে শুরু করে আদমদীঘি রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত কাদায় পিচ্ছিল হয়ে গেছে। এতে ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ বলেন, পুকুর খননকারীদের বারবার নিষেধ করার পরও রাতের আঁধারে এভাবে মাটি বহন করে রাস্তায় দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেব।
জরিমানা করার পরও কীভাবে রাতের আঁধারে আবার মাটি কেটে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে এমন প্রশ্নে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা সুলতানা বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি। পরে কথা বলব।
স্থানীয়রা জানান, আদমদীঘি-আবাদপুকুর আঞ্চলিক সড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কে প্রতিদিনই রাতের আঁধারে পুকুর খনন করে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহন করা হয়। এসব গাড়িতে মাটি বহনের সময় ওপরে ঢাকনা ব্যবহার না করায় প্রতিনিয়ত গাড়ি থেকে সড়কে পড়ে যায় মাটি। এর ফলে রোদে ধুলা আর বৃষ্টিতে কাদার সৃষ্টি হয়। কাদায় পিচ্ছিল সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ধীরগতিতে চালাতে হয় যাত্রীবাহী বাস, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ ছোটখাটো সব যানবাহন। পাঁল্লা গ্রামের এক কিলোমিটার সড়কে বর্তমানে হেঁটে চলাও দুষ্কর। এতে এলাকার শত শত মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা সদরের পাঁল্লা গ্রামের এক ব্যক্তি তার পুকুর খনন করে রাতের আঁধারে মাটি বিক্রি করে আসছেন। এই খবর উপজেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছালে প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পুকুর মালিক ও ভেকু চালককে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে। জরিমানা করার পর কিছু দিন মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও কয়েক দিন পার হতে না হতেই পুনরায় মাটি কাটা শুরু হয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী বারবার প্রশাসনকে অবহিত করার পরও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সাগর হোসেন বলেন, বৃষ্টির পানি পড়া মাত্র সড়ক কাদায় পিচ্ছিল হয়ে যায়। এসময় খুবই সর্তকতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হয়। ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহনের সময় সড়কে পড়া মাটিতে মরণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে।
সদর ইউনিয়নের পাঁল্লা গ্রামের আছির উদ্দিন বলেন, শীত-বর্ষায় মোটরসাইকেল চালকদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। রোদে ধুলায় গাড়ির সামনে কিছুই দেখা যায় না। অন্যদিকে বৃষ্টি হলে কাদার কারণে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে।