প্রকাশ: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:০০ এএম আপডেট: ১৬.০২.২০২৫ ২:১৭ পিএম (ভিজিট : ১৪৯)

ঢাকার আশুলিয়া গোমাইল এলাকায় একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের নারী শিশুসহ ১১ জন দগ্ধের ঘটনায় শিউলি আক্তার (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিউলি।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন, বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, শিউলির ৯৫শতাংস দগ্ধ হয়েছিল। আরো ১০জন ভর্তি আছে। এরমধ্যে আ ৮জনের অবস্থা আশংকাজনক।
বর্তমানে সুর্য্য বেগমের (৫০) ৭ শতাংশ, সোহেলের (৩৮) ১০ শতাংশ, সুমন রহমানের (৩২) ৯৯ শতাংশ, শারমিন আক্তারের (৩৫) ৪২ শতাংশ, সোয়াইদের (৪) ২৭ শতাংশ, সুরাইয়ার (৩ মাস) ৯ শতাংশ, মনির হোসেনের (৪০) ২০ শতাংশ, ছামির মাহমুদ ছাকিনের (১৫) ১৪ শতাংশ, মাহাদীর (৭) ১০ শতাংশ ও জহুরা বেগমের (৭০) ৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে।
এর আগে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়া গোমাইল গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় তলায় এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। রাত ১টার দিকে দগ্ধদের জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
প্রতিবেশী মো. আবু ইসহাক জানান, দগ্ধরা সবাই একই পরিবারের। ওই বাসার দুইতলায় ভাড়া থাকে। ঘটনার সময় সে নিজে মসজিদে ছিল। খবর পেয়ে দ্রুত বাসায় এসে তাদেরকে দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার ধারনা সিলিন্ডার গ্যাসের চুলা আগে থেকেই চালু ছিল। তখন দুই রুমে গ্যাস ছড়িয়ে ছিল। কেউ একজন রান্না করতে গিয়ে আগুন ধরাতেই চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পরে।
দগ্ধ সুমনের ফুফাতো ভাই মো. মাসুদ বলেন, সুমনদের বাড়ি শরিয়তপুর জেলায়। গোমাইল এলাকায় ভাড়া থাকে। বোন শিউলি থাকে নবাবগঞ্জ দিঘিরপাড় এলাকায়। ফুফু জোহরা বেগম থাকে মুন্সিগঞ্জে। সোহেলও থাকে গোমাইল এলাকায়। সুমন গ্রাফিক্সে কাজ করে। আর সোহেল গার্মেন্টস এসোসিরিজের কোম্পানিতে কাজ করেন। আর মনির সেনেটারী ব্যবসা করেন।
তিনি আরও বলেন, শবে বরাত উপলক্ষ্যে শনিবার সবাই সুমনদের বাসায় যায়। রাতে রুটি পিঠা বানানোর জন্য চুলা জ্বালাতেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।